পূর্বাচলে ‘স্বপ্নের জমি’ চেয়ে চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে, বুঝতে পেরেছেন জয়
নিজের স্বপ্ন ও সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাচলে জমি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ভাইরাল হওয়া চিঠির ইস্যুতে মুখ খুললেন জনপ্রিয় টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। নিজের ভুল বুঝতে পেরে জয় বলেছেন, এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য।
শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে চিঠির বিষয়টি নিয়ে ব্যখ্যা দেন জয়।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘আলো আসবে গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দিবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে ১৪ বার ভাইরাল করলেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩ এ ধারা। এই সরকার ইতোমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তারপরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন আমার নাম্বার ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করছেন।’
শাহরিয়ার নাজিম তার ফেসবকু পোস্টে আরও লেখেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবে না। আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয় তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি। চলুন সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি লেখেন জয়। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে মা বলে সম্বোধন করেন। লেখেন, মায়ের কাছে সন্তান আবদার করলে মা সেই আবদার ফিরিয়ে দিতে পারেন না। চিঠিতে নিজের স্বপ্ন ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় পূর্বাচলে ১টি প্লট তাকে দিতে শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন তিনি।
শেখ হাসিনার কাছে জয়ের এ সংক্রান্ত এক আবেদনপত্রের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যদিও আর আগেও এই আবেদনপত্র দুই দফায় ভাইরাল হয়েছিল। ২০১৪ সালে চিঠিটি একবার ভাইরাল হয়। এরপর এটি ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় আবারও ভাইরাল হয়। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে এই আবেদনপত্রটিই আবার ভাইরাল হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এলএম/এসআইএস)