বরগুনায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৫

বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা জেরীনা আকতারের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরগুনা সদর উপজেলায় ২২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার টাকা স্লিপ বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দের ৫০ ও ৭০ হাজার টাকার বিল করাতে ভ্যাট আইটি বাদে প্রতি বিদ্যালয় থেকে ৫০০-৭০০ টাকা তোলা হয় বলে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষকদের তথ্যমতে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা জেরীনা আকতারের নির্দেশে হিসাব সহকারী মোস্তাফিজা এই টাকা তোলেন।

সদরের দক্ষিণ মাইঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন স্লিপের বিল করাতে এজির খরচ বাবদ ৫০০ টাকা হিসাব সহকারী মোস্তাফিজার কাছে দেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সদরে ৫৫টি ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ে ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টাকার বিল করাতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয় প্রতি ৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে বলে শিক্ষকরা জানান।

সদরের বড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন অর রশীদ জানান, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে তার বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই বরাদ্দের বিল করাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতারকে তিন হাজার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরনকে ২ হাজার এবং অফিসে ৫০০ টাকা দিয়েছেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতারের মোটরবাইক থাকা সত্ত্বেও তিনি তা ব্যবহার করছেন না, অথচ পেট্রল এবং মোটরবাইক মেরামত বাবদ ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ৩৬ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন।

সদরের ১৯টি বিদ্যালয়ে ইউনিসেফ থেকে ইমার্জেন্সি এডুকেশন কিটের কার্টুন বিতরণে টিইওর নির্দেশে বিদ্যালয় প্রতি ৩০০ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক রনি।

স্লিপের বিল করতে প্রতি বিদ্যালয় থেকে ৫০০-৭০০ টাকা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে হিসাব সহকারী মোস্তাফিজা তা অস্বীকার করেন।

ভুয়া বিল-ভাউচারের ব্যাপরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতার বলেন, ‘আমার মোটরসাইকেল আছে, তা বরিশাল বাসায়, ওটা আমি চালাই না। আমি বরগুনায় বাসে আসা-যাওয়া করি এবং ওই বাসের ভাড়াটাই আমি বিল করে নিয়েছি।’ অন্য অভিযোগগুলো তিনি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মো. সালেহ্ বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

সাতক্ষীরায় শহীদ আসিফের কবরের পাশে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ফরিদপুরে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার

কুয়াকাটায় হোটেলে রুম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে পর্যটক

শতাধিক বসতবাড়ি কৃষিজমি বিলীন, ভাঙন ঝুঁকিতে স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ

পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে মাছের ঘেরে বিষ, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি

সংখ্যালঘু শব্দটিতে বিশ্বাস করে না বিএনপি: শামা ওবায়েদ 

লৌহজংয়ে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন আব্দুস সালাম আজাদ

পদ্মায় মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, রাজবাড়ীর জেলেদের মাথায় হাত

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :