চট্টগ্রামে প্রয়াত এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে কিছু দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসে করে এসে কবরের ওপরের থাকা গাছ, ফটক ও নামফলক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম সারোয়াতলী আহমদুল্লাহ খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান। পরে তিনি বোয়ালখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সেলিনা খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মইন উদ্দীন খান বাদলের পৈতৃক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’
ফেসবুকে শেয়ার করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কবরের ওপর আগুন জ্বলছে। এছাড়া ভাঙচুরের চিহ্ন রয়েছে কবর ও আশপাশে।
সেলিনা খান বলেন, ‘একটি গাড়ি নিয়ে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কবরস্থানের ওপরের গাছ, ফটক ও নামফলক ভাঙচুর করে। এরপর কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা কেউ ছিলাম না। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের আমলে যদি মানুষ কবরেও শান্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতিকারী কবরে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়েছে। অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
মইন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ দেশে এনে তার নিজ বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গঠনে মইন উদ্দীন খান বাদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে প্রথমবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এসআইএস)