দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেজিন শহরের মাহমুদিহ, কাসর আল-আরুশ ও বিরকেট জাব্বুর এলাকায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননে প্রায় ১০০টি রকেট-লাঞ্চার ও অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। তবে হামলায় হতাহতের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই লেবাননে সবচেয়ে বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হিজবুল্লাহকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আমাদের সামরিক কার্যক্রমের ফলাফল অব্যাহত থাকবে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ড নজিরবিহীন হামলা চালায়। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহের মধ্যে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি বিমান ও রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার কারণে লেবাননের সীমান্তবর্তী নিজেদের উত্তরাঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল।
এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গল ও বুধবার লেবানন ও সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর তারহীন যোগাযোগ যন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত ও প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হয়।
লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে এসব বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে এসব বিস্ফোরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি ইসরায়েল।
দুই দিনের বিস্ফোরণের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ভাষণ দেন। সিরিজ বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ‘সব ধরনের সীমা’ লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গাজা যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলে অঞ্চলটির (মধ্যপ্রাচ্য) উত্তেজনা কমে আসবে। কিন্তু ইরানের সহায়তাপুষ্ট যে কোনো ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ‘অবিচল’ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এফএ)