তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের জের ধরে পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শনিবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের শুরুতেই তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না।
শনিবার রাঙামাটি থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং আসেওনি। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের একমাত্র পরিবহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে না। এতে এই রুটে চলাচলকারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। দোকানপাট শপিংমল এখনো খোলেনি।
শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ফুটে উঠেছে ক্ষতচিহ্ন। বেশ কিছু দোকানে আগুন দেওয়া হয়। পুড়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর জের ধরে শুক্রবার তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ)। একইসঙ্গে রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক শ্রমিকরা।
রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যারাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরই টহল দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবারের তুলনায় শনিবারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার সকাল ১১টায় করণীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/কেএম)