কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী যুব আন্দোলনের সদস্য শহীদ কারীমুলের জানাজা সম্পন্ন

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকারের বাহিনীর গুলিতে আহত মুহাম্মাদ কারীমুল ইসলাম সোমবার ঢামেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কারিমুল রাজধানীর যাত্রবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নে। কারীমুল স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মো. শাহাবুদ্দীনের ছেলে।
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাগরিবের নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শহীদ কারিমুল ইসলাম চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলনের সদস্য ছিলেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গত ৫ই আগস্ট সোমবার পুলিশ বাহিনীর হামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন কারিমুল। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন বুলেটের যন্ত্রনায় ভুগে সোমবার সকালে শাহাদাত বরণ করেন।
বাদ মাগরিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদের ইমামতিতে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ইউসুফ মালিক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, ঢাবি শাখা সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
জানাজার কারীমুল ইসলামের পরিবারের পক্ষে তার খালু সবার নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘কারীমুলের পরিবারে সেই ছিল কর্মক্ষম ব্যক্তি। তার বাবাও বেঁচে নেই। কিন্তু স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সে জীবনের মায়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজ তার মা, ভাই-বোনেরা তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাকে হত্যার দায়ে হাসিনা ও তার পেটুয়া বাহিনীর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
এসময় তিনি কারীমুলের পরিবারের উপযুক্ত কাউকে সরকারি চাকরি ও সহযোগিতার আবেদন জানান।
এসময় অন্যান্যরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও তাদের পরিবারকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান।
(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এসআইএস)

মন্তব্য করুন