পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: আইজিপি

আসন্ন দুর্গাপূজায় মণ্ডপে কেউ বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার চেষ্টা চালালে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার জন্য দেশের প্রতি জেলায় ও অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে। তারাও পূজার ডিউটি পালন করবে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ডসহ পুলিশের বিশেষায়িত যেসব ইউনিট আছে তারাও কাজ করছে। এছাড়া আনসার ভিডিপির পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা ভলান্টিয়াররা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে।”
তিনি জানান, দুর্গাপূজায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের টহল ও মোবাইল টিম প্রতিটি মণ্ডপের আশপাশে অবস্থান নেবে। কোনো পূজামণ্ডপে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার চেষ্টা চালায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুতরাং কোথাও কোনো বিশৃঙ্খখলার সুযোগ নেই।”
আইজিপি আরও বলেন, “কেউ যেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো মিথ্যা প্রচারণা, গুজব, অতিরঞ্জন ঘটাতে না পারে এজন্য সাইবার মনিটরিং জোরদার করেছি। এছাড়া জেলা উপজেলা এবং সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যেখান থেকে যে কেউ দ্রুত সংবাদ জানাতে পারবেন। এনটিএমসি তাদেরও দ্রুত ব্যবস্থা রেখেছে। আমরা চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎসবমুখর পরিবেশে পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে আসন্ন পূজা পালন করব।”
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ৮০০ বছরের পুরনো একটা ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, “দেশে এ বছর ৩১ হাজারের বেশি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। ঢাকায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ছয়টি বেশি মণ্ডপে পূজা হবে। উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো ঘাটতি নেই কোথাও। কোথাও কোথাও প্রতিমা ভাঙার খোঁজ পাওয়া গেলেও সেটি নগণ্য।” “ঝুঁকি বিবেচনায় এবারের পূজায় সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা সংকট নেই” উল্লেখ করে মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, “কেউ যাতে ফায়দা নিতে না পারেন, সেজন্যই ব্যবস্থা নিতে কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।”
“প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীনতা আছে, থাকবে, কিন্তু জঙ্গি ভাবাদর্শ ও কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না” বলে উল্লেখ করেন আইজিপি। বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”
“জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের জামিন দেওয়ার কার্যক্রম বিগত সরকারের, যারা জামিনে বের হয়েছেন, তারা নজরদারিতে আছেন”, যোগ করেন মো. ময়নুল ইসলাম। পুলিশ বাহিনীতে হারানো মনোবল ফিরে আসতে শুরু করেছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “মামলার আসামি হওয়া ১৭ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য তাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। যারা অপরাধ করেছেন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, অনুপস্থিত থাকছেন, তাদের তো চাকরি থাকার কথা নয়। তবে পুলিশ বাহিনীতে হারানো মনোবল ফিরে আসতে শুরু করেছে।”
(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন