রাষ্ট্রপতি আসলে কী বলেছেন?

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৯| আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৪
অ- অ+

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে জল ঘোলা হচ্ছেই। শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের হার্ডকপি এই জল ঘোলার কারণ। কোনো কোনো পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের। কিন্তু রাষ্ট্রপতি আসলে কী বলেছেন?

ঢাকা টাইমস বঙ্গভবন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কোনো গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার দেননি। আর অনানুষ্ঠানিকভাবেও তিনি বলেছেন, ‘শি হ্যাজ রিজাইনড, শি হ্যাজ রিজাইনড, শি হ্যাজ রিজাইনড।’

ফলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের দালিলিক নথিপত্রের বিষয় কেন টেনে আনা হচ্ছে তা এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে কি-না সেটিও এখন আলোচনায়।

রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।’

গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) ওই প্রতিবেদনে প্রকাশের পর থেকে এই ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের’ মতো অভিযোগ আনা হয়।

এর মধ্যেই সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়। এটি নিয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তবে বিতর্ক থামেনি, বরং রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, রক্তিম জুলাই, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার মঞ্চসহ তাদের সমমনা বেশ কয়েকটি সংগঠন এই দাবিতে সোচ্চার। রাষ্ট্রপ্রধানকে অপসারণের আলটিমেটামও দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

প্রশ্ন উঠেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির নামে যে বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ল, সেটি কি আনুষ্ঠানিক কোনো সাক্ষাৎকার ছিল? না, আনুষ্ঠানিক কোনো সাক্ষাৎকার রাষ্ট্রপতি দেননি বলে বঙ্গভবন সূত্রে ঢাকা টাইমস নিশ্চিত হয়েছে।

আর মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত বলে নিশ্চিত করেন। এরপরও এই ইস্যুতে এত আলোচনা-বিতর্ক থেমে নেই।

এদিকে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে দেশে এ মুহূর্তে সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক, সেটা বিএনপির কাছে কাম্য নয়। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদ। এটি কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়। রাষ্ট্রপতি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ফলে এ মুহূর্তে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি কাম্য নয়।’

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত কিংবা কণ্টাকাকীর্ণ হয়, সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না।’

এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশে যাতে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারা সেটি খেয়াল রাখতে বলেছেন।’

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিজনেস, বিনোদন, স্পোর্টস রিপোর্টার ও প্রেজেন্টার খুঁজছে ঢাকা টাইমস
‘যে জলে আগুন জ্বলে’র কবি হেলাল হাফিজের প্রয়াণ
ভাবতাম সিনেমা মুক্তির পর ফারুকী ভাই দেশে থাকবেন কীভাবে?
ধর্ষণের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা