এক প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দুই প্রেমিকার অনশন
প্রেমিক একজন। তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে হাজির দুই প্রেমিকা। অনশনে বসেছেন তারা। বিয়ে না করলে কেউ কিছুই মুখে দেবেন না।
সিনেমার কাহিনির চেয়েও চমকপ্রদ এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামে।
বর্তমানে দুই প্রেমিকাই প্রেমিকের বাড়িতে রয়েছেন। বিয়ের দাবিতে তারা অনঢ়। প্রেমিকের দাবি ছাড়তে রাজি নন কেউই।
ঢাকা টাইমসের ঝিনাইদহ প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই প্রেমিকের নাম শাহীন। তিনি গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার বিকাল থেকে এক কলেজপড়ুয়া এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। তার দাবি, দীর্ঘ দুই বছর ধরে তাদের সম্পর্ক। শাহীন তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছেন বহুবার।
ওই তরুণী জানান, তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ার পর তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ওই তরুণীকে পরিবার থেকে তার অমতে অন্যত্র বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে এসে ওঠেন।
কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর কথায়, ‘শাহীনের সঙ্গে আমার দুই বছরের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে পরিবার রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় আমার পরিবার মেনে নেয়নি। গত শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। কিন্তু আমি শাহীনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। এ কারণে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি শাহীনের বাড়িতে এসেছি।’
অন্যদিকে, মাস দুয়েক আগে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর তিনিও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন।
এই তরুণী বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে আমার দুই মাস আগে পরিচয়। এর আগে শাহিন আমাকে বিয়ের জন্য ওর বাড়িতে আসতে বলে। আমি আসার পর বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহীনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহীনের বাড়িতে এসেছি।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও সে এক মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কও গড়ে তুলেছিল।’
স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এনামুল হক নিলু বলেন, ‘গাগান্না গ্রামে শাহীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে অনশন করছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
(ঢাকাটাইমস/০৩নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন