নানা সমস্যা জর্জরিত মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা
পিরোজপুরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, চিকিৎসক সংকট ও ওষুধ বিপণন প্রতিনিধিত্বের দৌরাত্ম্যে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত ও রোগীদের বিড়ম্বনার অভিযোগ অহরহ পাওয়া যায়।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, সরকারি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতিসহ সব কিছুর যোগান দিলেও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উদাসীনতা,সময়মত না আসা ও অনিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। সরকারের দেওয়া উন্নতমানের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই কোনো প্যাথোলজি সেবা।
একসময় অপারেশন থিয়েটারে প্রতিদিন নিয়মিত অপারেশন হলেও এখন নেই কোনো অপারেশনের ব্যবস্থা। সরকারের দেওয়া কোটি টাকা মূল্যের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন থাকলেও রোগীরা পাচ্ছে না কোনো এক্স-রে সেবা।
গত কয়েকদিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের টয়লেটের বেহাল অবস্থা। ভর্তি রোগীদের কক্ষগুলো অপরিষ্কার। হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী দেখার টিকিটের মূল্য তিন টাকা হলেও ৫, ১০, ২০ টাকা করে যার কাছ থেকে যা পারছে তাই নিচ্ছে।
১০০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকায় হাসপাতালের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে চলছে খুব খারাপ অবস্থায় ভর্তি রোগী ও জরুরি চিকিৎসাসেবা। এদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণাধীন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেই সম্ভাবনাও নেই।
কোমরে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হওয়া সদর ইউনিয়নের বকসির ঘটিচোরার বাসিন্দা আকলিমা বেগম (২৬) ও পায়ের আঙ্গুল কাটা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী বাদল (৪৫)বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীকে দেওয়া খাবার খুবই নিম্নমানের, যা খাওয়ার উপযোগী না। রুমগুলো অপরিষ্কার। এছাড়াও ঠিকমত হাসপাতালের নার্সদের কাছ থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ.কে.এম রাসেল বলেন, ‘যারা চিকিৎসা দেবেন সেই চিকিৎসকেরই বড় সংকট এখানে। চিকিৎসকের পদ খালি ২১টি, কাজ করছেন মাত্র ৯ জন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অর্ধেকের বেশি নেই।’
এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ চার জন থাকলেও বর্তমানে একজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/এজে)
মন্তব্য করুন