আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী শ্যামলের শাস্তি চান টাঙ্গাইলবাসী, রবিবার অবস্থান কর্মসূচি
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারী তাকে বিরক্ত করেন। সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতেও তাদের দেখা গেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল খানের শাস্তি চান টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ। শ্যামল খান টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার বাসিন্দা ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দিনের জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় অঙ্কের টাকা দিতেন। তিনি আওয়ামী লীগের ডোনার ছিলেন। সেই টাকা দিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন।
৩০ বছর ধরে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী শ্যামল খান বছর দশেক আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন বলে জানা যায়। সরকারের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে তার অসদাচরণের শাস্তি দাবি করেন এলাকার মানুষ।
শ্যামল খানের বিচার দাবি করে মনসুর বিন সাইদ বুলবুল নামের একজন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার সাথে এই দুর্ব্যবহার করা শ্যামল খানের ঠিক হয়নি। আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।’
মো. মামুন নামের একজন যুবক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে আসতেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন ডোনার। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় অঙ্কের টাকা দিতেন তিনি। সেই টাকা ছড়াতেন তার প্রার্থী। তিনি উপদেষ্টার সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করে টাঙ্গাইলের মানহানি করেছেন। আমরা তার বিচার চাই।’
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে ছাত্র-জনতার অভ’্যত্থানের একজন যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মো. আল আমিন। তিনি বলেন, ‘ড. আসিফ নজরুল একজন সম্মানিত ব্যক্তি। দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা তিনি। ২৪-এর অভ্যুত্থানের একজন যোদ্ধা। তার সঙ্গে শ্যামল খানের ন্যক্কারজনক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’ রোববার শ্যামল খানের বাসার অভিমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
শ্যামলা খানের ভাই কামরুল হাসান খান বাবুল বলেন, ‘শ্যামল খান প্রায় ৩০ বছর যাবত সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে শ্যামল খান চতুর্থ। শুনেছি তিনি বিগত ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।’
(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন