নূর হোসেন দিবসে গ্রেপ্তার যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৪২ নেতাকর্মী কারাগারে
নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বর থেকে গ্রেপ্তার যুবলীগ ও সদ্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং সমর্থকসহ ৪২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগের মামলায় সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাসেল মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-মাহবুব হাসান, অহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম মজুমদার, মহিউদ্দিন হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ মো. দোজাহান, জাকির হোসেন, জিয়া উদ্দিন, শহিদুল ইমলাম, ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম সাগর হাওলাদার, মোশারফ হোসেন, আনসার হাওলাদার, কামরুল হাসান, রেহানা বেগম, লাকি বেগম, ওয়াসিম, মাছুম, আবু ইউসূফ, আলাউদ্দিন, আলী আহম্মেদ, আলহাজ্ব এম এ মারুফ, রুবেল, কবির হোসেন, উম্মে হাবিবা, মোহনা আক্তার, মোসা. মুন, গীতা রাণী বিশ্বাস, মোসা. পারভীন সুলতানা, ইসমাইল হোসেন রাজ, রাফসান, আবদুস সালাম আকন, রাশেদুল সিদ্দিক, মোসা. কহিনুর, পুষ্প, নুর উদ্দিন আফসার, রাজু আহম্মেদ ওরফে মিরান, সেলিমুজ্জামান রাজা, কুদ্দুস মকদুম, শাহজাহান মৃধা, ইদ্রিস আহম্মেদ, জনি হাসান।
নূর হোসেন চত্বর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ সোমবার মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা ও তাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা দেশকে অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্দেশনা সম্বলিত অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল করে জিরো পয়েন্ট ও আশ পাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে আসতেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ের বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার ওপর এই আসামিরা অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কতিপয় সদস্য এবং তাহাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতাগণ সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এই সময় ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রলীগের সঙ্গে এ আসামিরা দেশবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। সেখান থেকে ৪২ জনকে আটক করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন আসামি বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আসামিরা সমবেত হয়ে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী মিছিলে অংশ গ্রহন এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে উদ্যেগ গ্রহণ করিয়াছে। তাহারা পরস্পর যোগসাজশে একত্রিত হইয়া দেশের আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য ও বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর জন্য একত্রিত হইয়া রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান প্রদান ও সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করছিল। তাহারা প্রচলিত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অমান্য করে যে কোনো বড় ধরনের আঘাত ঘটাইতে পারে। গণজমায়েত হইয়া ধৃত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াণে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সমর্থক, অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে।
ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/ইএস
মন্তব্য করুন