ওবায়দুল কাদেরের পিএ মতিন রিমান্ডে, কারাগারে যুবলীগ নেতা সোহাগ
সরকারি ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আবদুল মতিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে বনানী থানার কিশোর মিজান হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ ও ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথক শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এদিন পিএ মতিনকে আদালতে হাজির করে তার সাত দিনের রিমান্ড মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত রবিবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের চর ওয়াশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মতিনকে।
আব্দুল মতিন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার চর খাগকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারীর পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের আরশিনগর এলাকায় বৈষম্য বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন ইস্পাহানি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন (২১)। ওই সময় আসামিদের ছোড়া গুলি তার মাথার পেছনে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পরবর্তীতে ১৯ এ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট নিহতের চাচা রমজান আলী শওকত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
অন্যদিকে যুবলীগ নেতা সোহাগকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে হাজির করেন বনানী থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. নুরউদ্দিন।
একইদিন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী রেইলগেটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গুলিতে আহত হয় কিশোর মিজান (১২)। গত ১২ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর বাবা লিটন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনকে আসামির করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/ইএস)
মন্তব্য করুন