সালথায় জমিজমা নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হাত-পা প্রায় বিচ্ছিন্ন
ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. আনিচুর মোল্যা (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে তার দুই হাত ও এক পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্বসোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আনিচুর মোল্যা পূর্বসোনাপুর গ্রামের সাহেব মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আনিচুরের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের আতিক ফকিরের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। আনিচুর সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবুর সমর্থক। আর আতিক ফকির বিএনপি নেতা প্রফেসর জয়নাল আবেদিনের সমর্থক। এর আগেও জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এরই জেরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনিচুর তার বাড়ির সামনে মাঠের জমিতে পানি দিতে গেলে প্রতিপক্ষের আতিক ফকির ও তার লোকজন তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরে রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে আনিচুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, আনিচুরকে অন্তত ৩০টি কোপ দেওয়া হয়েছে। তার দুটি হাত ও একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন। হাত-পায়ের হাড়গুলো কেটে ও ভেঙে গেছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলাকরীদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপির নেতা প্রফেসর জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমি কোর্টে আছি। শুনেছি এলাকায় মারামারি হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আনিচুর নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, আতিক ফকির, হাসেম ফকির, আতিকুর মিয়া ও কাইয়ুম। হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন