দাবাড়ু জিয়ার মৃত্যুর পর সংকটে পরিবার, সাহায্যে এগিয়ে আসলেন তামিম ইকবাল

দাবাড়ু পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে খেলাটিকে নিজের ধ্যান-জ্ঞান বানিয়েছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদের পথ ধরেই জিয়া দাবায় এসেছিলেন। গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করে হয়েছেন দেশসেরা দাবাড়ু। মাস চারেক আগে দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই কিংবদন্তি দাবাড়ু।
এরপর এক ধরনের আর্থিক সংকটে পড়ে যায় তার পরিবার। ছেলে তাহসিনকে নিয়ে বিপাকে পড়েন জিয়ার স্ত্রী লাবণ্য রহমান। ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে অনেক আশ্বাস দিলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই। এরই মধ্যে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
দেশের একটি টেলিভিশনে জিয়ার পরিবারকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। জিয়ার স্ত্রী তার ছেলের চার মাসের বেতন দিতে পারছেন না আসে এমন খবরও। এরপর গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
জিয়ার স্ত্রী লাবণ্য বলেন, ‘তামিম আমাকে বলল যে কোনো সমস্যায় যেন উনার সাথে যোগাযোগ রাখতে। আর ছেলেকে বলল পড়াশোনা এবং খেলাটা ঠিকঠাকভাবে চালিয়ে যেতে। তাহসিনকে বলে যে আমি তোমাকে পাঁচ লাখ টাকা দিলাম এটা কিছুই না, এটা তোমার বাবার জন্য কিছুই না।’
তামিমের এই সাহায্য কতটা কাজে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমি সবসময় বলেছি আমার ছেলেকে নিয়ে সামনে আগানো দরকার। এটার জন্য সম্মিলিত সাহায্য দরকার। সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমার মনে হয় সবকিছু ভালো হবে। ’
তামিমের ব্যবহারে মুগ্ধ জিয়ার স্ত্রী বলেন, উনি অনেক ভালো ভালো উপদেশ দিলেন যেন তাহসিন পড়াশোনা এবং খেলাটা একসাথে চালিয়ে যেতে পারে। তামিম ভাই অনেক ভালো মানুষ আমার খুবই ভালো লেগেছে।’
তামিমের পাশাপাশি দেশের এই কৃতী দাবাড়ুর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। জিয়ার স্ত্রী লাবণ্য বলেন, 'সিইও (বিসিবি) সুজন ভাই বলেছেন একটা আবেদন করতে। সামনে তাহসিনের খেলা আছে সেটাতে বিসিবি সহায়তা করতে চায়। তাদের একটা প্রসেসিং সিস্টেম আছে এজন্য সভাপতি বরাবর একটা আবেদন করতে বলেছেন সুজন ভাই।'
জিয়ার ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ফিদে মাস্টার। তিনি সম্প্রতি হাঙ্গেরিতে দাবা অলিম্পিয়াড ও তিনটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট খেলে দেশে ফিরেছেন। জিয়ার স্বপ্ন ছিল তার ছেলে সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার হবে একদিন। কিন্তু আচমকা বাবার মৃত্যুর পর ছেলের সেই স্বপ্নপূরণ যেন থমকে গেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন