যে কারণে ওয়ানডের র্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম সরালো আইসিসি

নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে তো বটেই, বিভিন্ন সিরিজ শেষেও হালনাগাদ করা হয় আইসিসি র্যাংকিং। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল (১৩ নভেম্বর) এই সপ্তাহের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সর্বশেষ হালনাগাদ হওয়া র্যাঙ্কিং দেখে অনেকেই হয়ত চমকে গেছেন!
দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে শীর্ষ অলরাউন্ডার থাকাটাকে যিনি অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন, সেই সাকিব আল হাসানের নামটাই নেই। এমনকি বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ; সাকিব তাহলে কোথায় হারালেন!
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিয়েছেন অবসর, সাকিবের একমাত্র ফরম্যাট এখন ওয়ানডে। সেই ওয়ানডে র্যাংকিংয়েই কিনা তার নাম নেই। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের নামটা সেখানে দেখতে না পেয়ে অবাকও হয়েছেন অনেকেই।
অবশ্য আইসিসি সাকিবের নামটা র্যাঙ্কিং থেকে সরিয়েছে নিজেদের নিয়মের কারণেই। এক বছর কোনো ম্যাচ না খেললে নাম ওঠে না আইসিসির তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নাম। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের সঙ্গেও তাইই ঘটেছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের পর থেকে যে দেশের জার্সিতে একদিনের ক্রিকেটে আর খেলেননি সাকিব।
বিশ্বকাপে বহুল আলোচিত শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটাই সাকিবের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। সেই ম্যাচটায় সাকিব ছিলেন অধিনায়ক। টাইমড আউটের আলোড়ন তোলা ঘটনাও হয়েছিল সেদিন। আবার সাকিব ছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের খেলা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেটায় ছিলেন না সাকিব। এরপর বাংলাদেশ দুইটি সিরিজ খেললেও সাকিব ছিলেন না স্কোয়াডে।
সাকিব অবশ্য একটি ম্যাচ খেললেই আবারো ঢুকে পড়বেন র্যাঙ্কিংয়ে। এ মুহূর্তে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন মোহাম্মদ নবী। দুইয়ে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তিনে আরেক আফগান রশিদ খান। চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাকিব আল হাসানের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে অবসর নেবেন তিনি। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিতর্কিত হয়েছেন সাকিব নিজেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের আছে আর তিন ওয়ানডে। উইন্ডিজ সফরের সেই ম্যাচগুলোতে সাকিব থাকবেন কি না তা জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে দোদুল্যমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই হয়ত শেষবার দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসানকে।
(ঢাকাটাইমস/১৪ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন