বালিয়াকান্দির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫| আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫
অ- অ+

অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার ভোরে কালুখালী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

ঢাকা টাইমসকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর পাঁচটায় বালিয়াকান্দি থানার দায়েরকৃত একটি মামলায় যৌথবাহিনীর হাতে সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলার বাদী রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের মো. তুহিনুর রহমান।

গত ২৫ আগস্ট বাদীর আদালতের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি বালিয়াকান্দি থানাকে রেকর্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মামলায় বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এহসানুল হাকিম, বালিয়াকান্দি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সামা মো. ইকবাল হায়াত, বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নায়েব আলী, মৃগী ইউনিয়নের কলকলিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম, পাটকিয়া গ্রামের মো. কালাম, জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিম ও অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে আসামিরা তাকে বালিয়াকান্দি কলেজ মাঠের পেছন থেকে অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নেন। পরে ৪ নম্বর আসামি নায়েব আলীর বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে আটকে নির্যাতন করতে থাকেন। মামলার ২ নম্বর আসামি বালিয়াকান্দি থানার সাবেক ওসি আবু সামা মো. ইকবাল হায়াত তাকে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে পায়ের তালুতে আঘাত করেন। এতে তার পা ফুলে যায়। ৫ নম্বর আসামি নাছির উদ্দিন দুই হাতের তালুতে বেত্রাঘাত করে থেঁতলে দেন।

আসামিরা পরে বাদীর বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করা হয়। এতে তার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়া ঘরে আটকে রাতভর তাকে বিদ্যুতের শকও দেওয়া হয়। পরে অবস্থা শুনে তার বাবা অনেক কষ্টে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে আসামিদের দেন। বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওসি পরদিন তাকে থানায় নিয়ে একটি পুরোনো মামলায় আদালতে পাঠান।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/এলএম/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মে দিবসেও পেটের দায়ে কাজ করছেন ভৈরবের কয়লার শ্রমিকরা 
ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
‘ইশরাকের মেয়র পদে মামলার রায় নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’
শ্রমিকরাও চাঁদাবাজদের জুলুমের শিকার: জামায়াত আমির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা