আগামী বছর ঢাকায় পর্তুগাল দূতাবাস চালু হতে পারে
ইউরোপীয় দেশ পর্তুগাল আগামী বছর ঢাকায় তাদের কনস্যুলেট কিংবা দূতাবাস চালুর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পর্তুগালের লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে পর্তুগাল প্রবাসীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামজিক সংগঠন ও সাংবাদিকরা মতবিনিময় অংশ নেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমারা আশা করছি, আগামী বছর শুরুর মাঝে দূতাবাস, কনস্যুলেট কিংবা পর্তুগালের ভিসা সংক্রান্ত ঢাকায় একটি অফিস চালু যেন করা হয় এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে পর্তুগাল সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শনিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের দশম অ্যালায়েন্স অব সিভিলাইজেশনস (ইউএনএওসি) গ্লোবাল ফোরামের সন্মেলন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
লিসবন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। পরে তিনি এক মুক্ত আলোচনায় প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মতবিনিময় সভায় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশে পর্তুগালের স্থায়ী বা অস্থায়ী দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেট স্থাপনের বিষয়টি। পর্তুগালে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বর্তমানে বসবাস করছেন, কিন্তু বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেট না থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানান হয়রানির শিকার হতে হয়। উপদেষ্টার কাছে সবার দাবি ছিল, খুব তাড়াতাড়ি যেন বাংলাদেশিদের জন্য বাংলাদেশের ঢাকায় একটি বিএফএস বা দূতাবাস চালু করা হয়।
পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পওলো রেঞ্জেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পওলো রেঞ্জেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়গুলো তিনি অবগত আছেন বলে জানান। সেই সাথে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয় যে পর্তুগাল সরকার বাংলাদেশীদের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে ঢাকায় দূতাবাস না হয় একটি ভিসা অফিস চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/মোআ
মন্তব্য করুন