টাঙ্গাইলে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

টাঙ্গাইলে পৃথক দুটি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জেলার মধুপুরে ইমাম ও মোয়াজ্জিন এবং দেলদুয়ারে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, মধুপুরে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং পিকআপটি সড়কের পাশে উল্টে যায়।
নিহতরা হলেন— শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার শালচূড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফেজ হাবিবুর রহমান (২০) ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মুরাদপট্টি চুয়ালিপাড়া গ্রামের শহিদুল শিকদারের ছেলে হাফেজ হাসান শিরাজী (১৮)।
বুধবার ভোরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাকরাইদের বড়বাইদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের মধ্যে সিরাজী মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ রামকৃষ্ণবাড়ি মসজিদের মোয়াজ্জিন এবং হাবিবুর ইমামতি করতেন। এছাড়া তারা দুজন বড়বাইদ এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমাদিয়া দাওরায়ে হাদিস মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুজন মাদরাসার শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি কাকরাইদ রামকৃষ্ণবাড়ি মসজিদে ইমামতি ও মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। ভোরে মসজিদে আজান দেওয়ার জন্য মাদরাসা থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা মোয়াজ্জিন ও ইমাম গুরুতর আহত হন। পরে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর জানান, সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়েছে।
এদিকে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে দেলদুয়ার থেকে পিতা-পুত্র ভ্যান ধাক্কিয়ে বাড়ি আসছিলেন। এমন সময় পাথরাইল পৌঁছালে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় সুশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এসময় গুরুতর আহত হন সুশান্ত ঘোষের পিতা ধনঞ্জয় ঘোষ। তিনি টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের বাড়ি পাথরাইল গ্রামে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ সরকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন