১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া যাবে আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তির ৬৪৫ মিলিয়ন ডলার আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইএমএফের মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
আইএমএফ সমর্থিত এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি’র (আরএসএফ) তৃতীয় পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি নিয়ে আলোচনা করতে ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধিদলটি ইসিএফ, ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে তৃতীয় পর্যালোচনা সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের হাতছানি এবং উদ্ভুত বৈদেশিক অর্থায়ন চাহিদার মুখোমুখি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বাইরের ধাক্কা সামলাতে দেশের স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী করার জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক অর্থায়ন চাহিদা মোকাবেলায় রাজস্ব ভিত্তিক আয় সুসংহত করতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি কঠোর করতে এবং বৃহত্তর অর্থনেতিক সহনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনিময় হার সংস্কার পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তারা একটি সুঠাম ও প্রতিযোগিতামূলক আর্থিক খাত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের জলবায়ূ এজেন্ডাকেও এগিয়ে নিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন