রিহ্যাব মেলায় বুকিং দিলেই বড় ছাড়

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া আবাসন মেলায় ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবাসন প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে রিহ্যাব মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
নির্মাণ সামগ্রীর ঊর্ধ্বমুখীর কারণে বেড়েছে ফ্ল্যাটের দাম। তাই তো মাথা গোঁজার স্বপ্নের একটি ফ্ল্যাটের নাগাল পাচ্ছেন না মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। ভালো মানের ফ্ল্যাট কিনতে অবশ্যই মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। তবে রিহ্যাব মেলায় বুকিং দিলেই মিলবে বড় ছাড়। পূরণ হতে পারে মধ্যবিত্ত মানুষের স্বপ্ন।
এবছর মেলায় ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানের স্টল জায়গা পেয়েছে। যেখানে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবাগুলো প্রদর্শন করেছে।
মঙ্গলবার স্টল ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ও নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের ছবি, নকশা ও তথ্য নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আগত ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গার ফ্ল্যাটের তথ্য এখানে পাওয়া যাচ্ছে। মেলা থেকে ফ্ল্যাট কিনলে বা বুকিং দিলে মিলছে বিশেষ ছাড়। ফ্ল্যাট অনুযায়ী ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় এবং বুকিং কনফার্ম করলে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি ল্যাপটপ।
আবাসনখাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় সাধারণ মানুষ তার বিনিয়োগ করে প্রডাক্ট বা কাঙ্খিত ফ্ল্যাট বুঝে পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক। তাই আমরাও চেষ্টা করছি তাদের আস্থার জায়গা ধরে রাখতে। মেলার দ্বিতীয় দিনে বেশ সাড়া আছে। সকাল থেকে ক্রেতারা আসেছেন।
শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মাইনুদ্দিন আহমেদ। সকালে এসেছেন মেলায়। স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন তিনি। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মেলায় ঢুকে বেশ কয়েকটি স্টল দেখেছি। তবে ফ্ল্যাটের দাম বেশি। পাশাপাশি মেলায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর লোকেশন যদি ঠিক থাকে তাহলে একটা ফ্ল্যাট নেব। ঢাকা-সিলেট সড়কে একটি লোকেশন পছন্দ হয়েছে। আরও দেখব।’
ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) রাজিবুর রহমান রনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নির্মাণ সাম্রগির ব্যয় শুধু দেশে বাড়েনি বিশ্বব্যাপী বেড়েছে। এটাতে মানুষ এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। মেলায় বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমাদের ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত সবধরণের ক্রেতাকে আমরা সার্ভিস দিতে পারছি। আশা করছি বেশ ভালো বেচাকেনা করতে পারব।’
রোমানা রুমী বলেন, আমি লোকেশনগুলো দেখতে এসেছি। বিশেষ করে পূর্বাচল, মাওয়া হাইওয়ে দেখছি। প্রাইজে যদি পর্তা হয় তাহলে নেব। মেলায় এলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে যাচাই করার সুযোগ থাকে। পাশাপাশি ছাড়ও পাওয়া যায়। একারণে মেলাতে আসা। অনেক সময় জমি বা ফ্ল্যাট কিনে প্রতারিত হতে হয়; তাই সতর্কতার জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো দেখছি।
কেরানীগঞ্জের এসকে আশিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, যেহেতু আমাদের ছাদ বাগান করার শখ আছে। তাই এশিউর গ্রুপের উত্তরার একটি লোকেশন ও ভবন পছন্দ হয়েছে। এখন সরাসরি গিয়ে দেখে আসব। লোকেশন অনুযায়ী দাম তুলনামূলক কমই মনে হয়েছে। তবে সরাসরি গেলে বাকিটা বোঝা যাবে।
এশিউর গ্রুপের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার অনুপম রায় বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রায় সবজায়গায় আমাদের ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এখানে আমরা সব প্রজেক্ট ক্রেতাদের তুলে ধরতে পারছি। তারা যে এরিয়া বলুক না কেন সেখানেই আমরা সেবা দিতে পারব। প্রথম দিনে ভালো সাড়া পেয়েছি, দ্বিতীয় দিনে সেটা বাড়ছে। আগামীকাল সরকারি ছুটি এবং মেলার শেষ দিন শুক্রবার। সবমিলিয়ে আশা করছি ভালো সেল করতে পারব।’
ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এসএস

মন্তব্য করুন