মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের জোড়া অর্ধশতকে রাজশাহীকে হারিয়ে বরিশালের শুভ সূচনা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের ১১তম আসরের উদ্বোধনী দিনেই শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কে ভেবেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশাল দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে হাসবে শেষ হাসি? তবে ক্রিকেট বরই অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেখানে শেষ হাসিটা হাসলো বরিশাল।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্বার রাজশাহী। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে দুর্বার রাজশাহী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর বোলারদের বোলিং তোপে ৬১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। এরপরেই দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ। তাদের জোড়া অর্ধশতকে ভর করে ১৮ ওভার ১ বলেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবাল। তবে ইনিংসের প্রথম বলেই এই জুটি ভাঙেন জিশান আলম। জিশানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
শান্তর পর সাজঘরে ফিরে যান তামিমও। বিপিলের প্রথম ম্যাচটা ভালো হলো না তার। ৫ বলে মাত্র ৭ রান করে তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ে ১২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল।
১২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান তাসকিন। তাসকিনের বলে রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কাইল মেয়ার্স। তার বিদায়ে ভাঙে ১৮ রানের জুটি।
কাইল মেয়ার্সের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে বরিশালের তামিমের পর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমেরও চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচটা ভালো হলো না। ১১ বলে ১৩ রান করে হাসান মুরাদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।
মুশফিকের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়ও। ২৩ বলে ৩২ রান করে হাসান মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
তাওহীদ হৃদয়ের বিদায়ের পর শাহিন আফ্রিদিকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বরিশাল্।তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান তাসকিন। তাসকিনের বলে মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১৭ বলে ২৭ রান করা শাহিন আফ্রিদি। তার বিদায়ে ভাঙে ৫১ রানের জুটি।
এরপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোয় মনোযোগ দেন। তাতে সফল দুজনই। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ফাহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৫৪ রান।
এর আগে আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্বার রাজশাহী। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। এরপরেই জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী। এই দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। এনামুল হক ৬৫ রানে ফিরে গেলেও ইয়াসির আলী ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার অপরাজিত ৯৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী।
(ঢাকাটাইমস/৩০ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন