ধোলাইপাড়ে মসজিদ-বাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে তত্ত্বাবধায়কের বাড়িতে হামলা

রাজধানীর ধোলাইপাড় বাজার জামে মসজিদ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে তত্ত্বাবধায়কের বাড়িতে হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় বৃহস্পতিবার ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন তত্ত্বাবধায়কের মা রুনা পারভীন।
জানা গেছে, বংশ পরম্পরায় দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ ধোলাইপাড় বাজার জামে মসজিদ ও বাজারের রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করে আসছে রুনা পারভীনের পরিবার। তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাবুল মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। ১০ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর রুনা পারভীনের বড় ছেলে রকিব উদ্দিন সিজার তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মসজিদ ও বাজারের আশেপাশে রুনা পারভীনদের জমি-জমা রয়েছে। ৫ বছর ধরে একটি চক্র মসজিদ, বাজার ও রুনা পারভীনদের সম্পত্তি দখলের জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং হয়রানি করে আসছে। সম্পত্তি দখলে নিতে ৫ বছর আগেই রুনা পারভীনের ছোট ছেলে কুতুব উদ্দিন পাপ্পুকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পাপ্পু হত্যার মামলা এখনও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তাধীন রয়েছে। এই সম্পত্তি দখলে নিতে গেল ৩১ ডিসেম্বর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ২ জানুয়ারি মামলা করেন রুনা পারভীন।
মামলার আসামীরা হলেন, মোজাফ্ফর ভুট্ট, হাফিজুর রহমান ইমন, ইমরান, মনু, তুষার, শাহীন, রাহাত, ফিহাদ, আরমান, নাসির উদ্দিন, আলামগীর, আলামিন, ইসমাইল, ইউসুফ আলী গুড্ডুসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ জন। এরমধ্যে হাফিজুর রহমান ইমন, ইমরান মামলার বাদী রুনা পারভীনের ভাসুরের ছেলে এবং নাসির উদ্দিন তার দেবর বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুনা পারভীন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আসামিরা কয়েক বছর যাবত আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবিও করছে। গত ৩০ ডিসেম্বর আমার বড় ছেলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে একদিন পর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিতে চাইলে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আমার মেঝ ছেলের স্ত্রী আহত হয়। এই হামলার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। আসামিরা সিসিটিভিও ভাঙচুর করেছে। ৫ বছর আগে আমাদের সম্পত্তি দখলে আমার ছোট ছেলে কুতুব উদ্দিন পাপ্পুকে গুম করে হত্যা করা হয়। সেই মামলা এখনও তদন্ত চলছে।
মামলার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ফারুক আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ধোলাইপাড়ে মসজিদ-বাজার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তত্ত্বাবধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/আরএইচ/এমআর)

মন্তব্য করুন