মহেশপুরে ভারতের দখলে থাকা কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার ভূমি উদ্ধার করল বিজিবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৪| আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৭
অ- অ+

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি কোদালিয়া নদী ভারতের কবল থেকে উদ্ধার করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। এতোদিন কোদালিয়া নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটার ভারতের বিএসএফ দখল করে সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে।

সোমবার সন্ধ্যায় ৫৮ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, কোদালিয়া নদী বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয়ে মহেশপুরের মাটিলা এলাকায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চিহ্নিত করেছে। ১৯৬১ সালে প্রনীত বাংলাদেশ-ভারত (স্টীপ ম্যাপ সীট নম্বর-৫১) মানচিত্র অনুসারে কোদালিয়া নদীর উল্লেখিত ৪.৮ কিলোমিটার নদী সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্য রেখার অভ্যন্তরে অবস্থিত। মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের মাটিলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন জানান, এক সময় এই নদী থেকে প্রচুর মাছ আহরণ করা হতো। স্বাধীনতার পর কোদালিয়া নদী পাড়ের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের দেশের আরো অভ্যন্তরে বসবাস শুরু করলে কোদলা নদীর বাংলাদেশ অংশটুকু ভারতের বিএসএফ দখল করে নেয় এবং সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে কৃষকরা মাঠে চাষাবাদ ও নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারতো না। তিনি আরো জানান, নদীর বাংলাদেশ অংশে গেলেই বিএসএফ বাধা প্রদান করতো। এতে নদীটি ব্যবহার করা নিয়ে মাটিলা গ্রামের মানুষের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রক্ষি বিএসএফ’র সাথে বাদানুবাদ হতো।

সম্প্রতি কোদালিয়া নদীর প্রকৃত মালিকানা সংক্রান্ত এই বিষয়টি ৫৮ বিজিবির নজরে আসলে বিজিবি প্রথমে বিভিন্ন নথিপত্র, স্থানীয় প্রশাসন ও মানচিত্র থেকে নদীটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে বিএসএফের অবৈধ আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ৫৮ বিজিবি সদস্যরা সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কোদালিয়া নদী নিজেদের আয়াত্বে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে বিজিবি সদস্যরা প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার জন্য যন্ত্রচালিত বোট এবং নদীর পাড়ে দ্রুত টহলের জন্য অল ট্যারেইন ভেহিক্যেল (এটিভি) বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে ভারতের কবল থেকে ৫ কিলোমিটার নদী উদ্ধারের পর সোমবার দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহ মো. আজিজুস সহিদ স্থানীয় জনগরে সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

স্থানীয় জনসাধারণ এসময বিজিবিকে অবহিত করেন বর্তমানে কোদালিয়া নদীতে নির্বিঘ্নে তারা যেতে পারছেন। এদিকে নদী উদ্ধারে বিজিবিকে সহায়তার জন্য বিজিবি কর্মকর্তারা জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান এবং নদীর প্রকৃত অবস্থান এবং মালিকানা সম্পর্কে পরবর্তী প্রজন্মকে অবগত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। সেই সাথে নদীর বাংলাদেশ অংশে প্রয়োজনীয় সেচ এবং চাষাবাদ জারি রাখার জন্য গ্রামবাসীকে বিজিব অনুরোধ করেন। এক্ষেত্রে কখনও কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি হলে তা সাথে সাথে বিজিবিকে অবহিত করতেও গ্রামবাসীর প্রতি বিজিবি সদস্যরা অনুরোধ করেন।

(ঢাকা টাইমস/০৭জানুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢালিউডের ‘মহানায়ক’ মান্নাকে হারানোর ১৭ বছর
মানুষের কিছু ভুলে বাড়ছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার! জানুন, সাবধান হোন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশায় পাঁচ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ২০
দিল্লিতে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, উত্তর ভারতজুড়ে তীব্র কম্পন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা