কাদের-হেলালদের ‘ভারতে পালাতে সাহায্য করেন’ যুবদল নেতা!

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল ও তার পরিবারের চার সদস্যকে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফেসবুক লাইভে এসে এবং একটি পোস্ট দিয়ে এমন অভিযোগ করেছেন জেলা যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসকেন্দার আলী জনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১৩ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা ও মাদক সম্রাট শহীদ পুটখালি ঘাট দিয়ে শেখ হেলালসহ পরিবারের চার সদস্যকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পার করে দিয়েছে। সেই তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে আছে।’
এর আগে একইদিন দুপুরে এসকেন্দার আলী জনি ফেসবুকে লাইভ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।’
তার অভিযোগ, যশোর ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ৫ তারিখের পর তাকে ভারতে পালাতে সাহায্যে করেছেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা। কিছু দিন আগে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। বেনাপোলের পুটখালির গোল্ড নাসিরের সঙ্গে টাকা ভাগাভাগি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘাট’ শহিদকে ধরলে এ তথ্য পাওয়া যাবে। শুধু কাদের নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে ভারতে যেতে সাহায্য করেছে যশোর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রানা। এ তথ্য সব নেতাই জানেন। এখন যশোর যুবদল দেখলে মনে হবে যুবলীগ হেঁটে যাচ্ছে। যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা দলকে যুবলীগে পরিণত করেছে।’
এ বিষয়ে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যই এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে সুস্থ নয়। ওবায়দুল কাদের কোন দিক দিয়ে কোথায় গেছে, সেটা আপনারা তদন্ত করেন। একজন একটা কথা বললেই তো সত্যি হয়ে যায় না।’
এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর যুবদলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হৈচৈ পড়ে গেছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক পদ থেকে এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন