বরগুনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

বরগুনার কলেজ রোডে স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করে থানা এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলেজ রোডের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পুতুলকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পুতুল পূবালী ব্যাংকে হেলপার পদে চাকরি করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
নিহত পুতুলের খালাতো ভাই আল-আমীন বলেন, ‘প্রায় তাদের পারিবারিক কলহের কথা শুনতাম। খবর শুনে ছুটে গিয়ে দেখি, পুতুলের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। তৎক্ষণাৎ তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।’
মেয়ে রাকা মনি বলেন, ‘বাবা আমাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল। লোকজন এসে আমাকে উঠায়। উঠে দেখি আমার মায়ের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এলাকার লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবুল কালাম তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।’
ওসি জানান, ‘তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পুতুলসহ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিমকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে বের হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন