পলাশের রঙে রঙিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

পলাশ ফুল জানান দেয়, বসন্ত এসে গেছে। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সঙ্গে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া। মহাসড়কেও তাই লেগেছে আগুনরাঙা পলাশ ফুলের ছোঁয়া। নান্দনিক সৌন্দর্যে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষকে।
আগুনরাঙা পলাশ ফুল ফুটেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভালুকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকার সড়কের বিভাজকে। মহাসড়কে গাড়িতে চলতে চলতে ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন যাত্রীরা। এই সুন্দর থেকে বঞ্চিত হন না পথচারীরাও।
পলাশ ভারতীয় উপমহাদেশের ফুল। বাংলাদেশে এই ফুল বেশি ফোটে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, পুরুলিয়া এলাকায় এই ফুলের দেখা মেলে। বেঙ্গালুরুতেও পলাশ আছে। পলাশ ফুল লাল, লালচে কমলা, হলুদ ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এই গাছের নানা ঔষধি গুণও আছে। বসন্তে গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে এই ফুল ব্যবহার করেন। পলাশ গাছের ছাল, পাতা ও বীজ নানা রোগ সারাতে কাজে লাগে। চর্মরোগ, জ্বর, ডায়রিয়া, ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার আছে।
ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ভালুকার সুচিত্রা রানী বর্মণ বলেন, ‘ভালুকা থেকে ময়মনসিংহে কলেজে যাই। গাড়ি থেকে রাস্তার ডিভাইডারে পলাশ ফুলগুলো দেখতে সুন্দর লাগে, মন খারাপ থাকলেও মন ভালো হয়ে যায়।’
অ্যাপোলো ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার ভালুকার অধ্যক্ষ এ.আর.এম শামছুর রহমান জানান, ফুল ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর! ঘর থেকে গন্তব্যে-কর্মস্থলে গমনে রাস্তায় যদি নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে পড়ে তখন মনটা এমনিতেই সতেজ হয়ে উঠে আর এমন সুখানুভূতির পরশ পাওয়া যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ডিভাইডারে ফুটে থাকা পলাশ ফুলের সমারোহে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শওকত আলী বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেন হওয়ার পর সড়ক বিভাজকে নানা প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়। সৌন্দর্যবর্ধন ও বিভাজকের মাটি আটকে রাখার জন্য ওই গাছ লাগানো হয়। এর মধ্যে পলাশও আছে। বসন্তে পলাশ ফোটে। এ ছাড়া ঋতুভেদে এখানে ফোটে সোনালু, কৃষ্ণচূড়াসহ নানা ধরনের ফুল।
মহাসড়কের ভালুকা অংশের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি, সিডস্টোর, ভালুকা, ভরাডোবাসহ পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলায় পলাশ ফুল চোখে পড়ে। যত দূর চোখ যায়, শুধু রঙিন পলাশ আর পলাশ।
(ঢাকা টাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন