আগামী এক দশকের মধ্যেই আইসিসি শিরোপা জিতবে আফগানিস্তান: স্টেইন

একের পর এক নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিচ্ছে আফগানিস্তান। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে রশিদ-নবীরা জন্ম দিয়েছিল আফগান রূপকথার।
এরপর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের কাছে হার মেনেছিল নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দল। বড় বড় এই দুই দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে আরও একবার আফগান রূপকথার জন্ম দেয় রশিদ-নবীরা।
এখানেই শেষ নয়, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। যা তাদেরকে নিয়ে গিয়েছে সেমিফাইনালের কাছাকাছি। যদিও ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে আফগানদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা চারে দেখার সম্ভাবনা নেই।
তবে সেমিতে যেতে না পারলেও হাশমতউল্লাহ শহিদির দল মুগ্ধ করেছে ক্রিকেটের দুনিয়াকে। আর সেই সূত্রেই দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন বলেই বসলেন, ‘আগামী এক দশকের মধ্যে আইসিসির কোনো স্বীকৃত টুর্নামেন্ট জয় করবে আফগানিস্তান।’ আর সেজন্য ব্যক্তিগত আর দলগত পারফরম্যান্সের দিকে ধৈর্য্যশীল হওয়ার পরামর্শ সাবেক এই প্রোটিয়া পেসারের।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় হারের মধ্য দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাত্রা শুরু হয় আফগানদের। পরের ম্যাচে এসেই ইবরাহিম জাদরানের রেকর্ড ১৭৭ রানের ওপর ভর করে ৩২৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নামা জো রুট ১২০ রান করার পরও ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে আটকে ফেলে আফগানিস্তান। জয় পায় ৮ রানের ব্যবধানে।
আফগান ক্রিকেটারদের ধৈর্য অনেক কম। এ বিষয়টা উল্লেখ করে স্টেইন বলেন, ‘আগেরদিনে ফিরে গেলে দেখতে পাবো, অনেক ক্রিকেটার কাউন্টিতে খেলতে যেতো, কিংবা তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে যেতো তাদের স্কিল এবং ধৈর্য বাড়াতে। আমি মনে করি, আমরা এখন এমন এক সময়ে বসবাস করছি, যখন মানুষের মধ্যে ধৈর্য অনেক কম। আমরা ইনস্টাগ্রামে সর্বোচ্চ ২ সেকেন্ড কোনো একটি স্টোরি দেখি। আফগানিস্তান ক্রিকেটারদেরকেও আমার তেমন মনে হয়, যখন তারা ক্রিকেট খেলতে নামে।’
‘আফগানিস্তান ক্রিকেটাররা চায় খুব দ্রুত কিছু করে ফেলতে। এমন একটি বল যেটাতে উইকেট পেতে পারে; কিন্তু তাদের ধৈর্য কম। উইকেট নেয়ার ধৈর্য নেই। একইরকম অবস্থা ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও। তারা খুব তাড়াহুড়ো করে। প্রথম ওভার থেকেই ব্যাট চালাতে চায়। প্রথম বলেই চায় ছক্কা মারতে। এভাবেই তারা খেলা চালিয়ে যেতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখছি, তারা বিশ্বব্যাপি অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে। এটা অবশ্যই অনেক ভালো। এটা তাদের পকেটে ভালো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। তবে তাদেরকে অনেক বেশি চারদিনের ম্যাচও খেলতে হবে। তাহলে হয়তো তাদের ধৈর্য অনেক বাড়বে। কারণ, ওয়ানডে ক্রিকেট হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের একটি সংক্ষিপ্ততম ভার্সন।’
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন