কূটনৈতিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চ্যার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সসহ কূটনীতিকগণের সম্মানে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিন-এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিস. সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস মেরি মাসদুপি, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়ো ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গিরি গোরিওভিস কোজিন, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার মিস. সুসান রেলি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল মিলার, ইরানের রাষ্ট্রদূত মি. মানসুর চাভোশি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মি. রমিস সেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিক্যাল এ্যাফেয়ার্স জেমস এ. স্টুয়ার্ট, জাপানের ডেপুটি চিফ অব মিশন তাকাহাসি নাওকি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি মিনামি তোমো, পাকিস্তানের হাইকমিশনার কামরান ধাংগল, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, ভারত, ভুটান, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, ইরাক, ভ্যাটিকান সিটি, কানাডা, ব্রাজিল, আলজেরিয়া, কসোভো, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি, আইআরআই এবং এনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ শরীক হন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ইফতার পার্টিতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাড. মোয়াযম হোসাইন হেলাল, অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।
ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ডা. শফিকুর রহমান ইফতার পার্টিতে উপস্থিত কূটনীতিকগণকে মুবারকবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যিনি আমাদের দীর্ঘ ১১ বছর পর এই ইফতার পার্টি আয়োজন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে ইফতার পার্টির ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ইফতার পার্টি আয়োজন করতে দেয়নি। এমনকি কিছু অনুষ্ঠানের জন্য ভেন্যু বুকিং ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, শেষ পর্যন্ত সরকারের বাধার কারণে আমাদের সেইসব আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আবারও আপনাদের এই মর্যাদাপূর্ণ ইফতার মাহফিলে স্বাগত জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদ ও নির্যাতিতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, যাদের আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘রমজান শুধুমাত্র সিয়াম সাধনার মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম ও আত্মনিবেদন করার মাস। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্ত মানুষের কষ্ট অনুধাবন করি যাতে আমাদের হৃদয়ে সহমর্মিতার বীজ বপন হয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা শুধু শারীরিক অনুশীলন নয়; বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং ন্যায়পরায়ণতার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদেরকে সাহায্য করে।’
(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন