ধানমন্ডিতে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম, হয়নি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২৫, ২১:৪৫
অ- অ+

রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ওই কর্মীর নাম সাইফ হোসেন মুন্না। তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাবাগান এলাকার সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ের একটি সিভিসিভি ফুটেজ ঢাকাটাইমসের হাতে এসেছে।

তবে নৃশংসভাবে মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করা হলেও আসামিরা বহাল তবিয়তে এলাকায় অবস্থান করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

আর পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। আমরা অভিযুক্তদের নজরদারিতে রেখেছি।

ঘটনার সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে জানা গেছে, রাতে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে সাইফ হোসেন মুন্নাকে গতিরোধ করে মামুন। পরে ফিল্মি স্টাইলে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন এমসি শুভ ও রানা। আরেক মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হন মোবারক। প্রথমে মামুন বিএনপি কর্মী মুন্নাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুভ বেধড়ক কুপানো শুরু করে। এসময় সে কালো পাঞ্জাবি এবং হেলমেট পরা ছিল। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করলে মুন্নাকে অন্য সন্ত্রাসীরা মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার হাত ও পায়ে ব্যাপক জখম হয়েছে। তার শরীরে অজস্র কোপের দাগ রয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুন্নাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুন্না।

সূত্র বলছে, এমসি শুভ এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। একসময় কলাবাগান থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে যুবদলের কমিটি নেই। কিছু আগে কলাবাগান থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার অনুসারী থানায় হামলা করে শুভকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহ আলম সৈকতের অনুসারী এই শুভ। তার নেতৃত্বেই সে এলাকায় নানান অপকর্মে জড়িত।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, মুন্না ও যারা তাকে কুপিয়েছে সবাই বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের অনুসারী। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তাদের সঙ্গে আমার বা দলের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি— তারা দলেও কেউ না।’

এদিকে কলাবাগান থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহ আলম সৈকত বলেন, ‘তারা বিএনপির কেউ না। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এসব অপকর্ম করছে তাদের ছাড় হবে না। আমি থানা পুলিশকে বলে দিয়েছি এই ঘটনায় যাতে দ্রুত মামলা হয়।’

ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঘটনার পরপর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছি। এই ঘটনায় অপরাধীরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। মামলা হলে পুলিশ আসামিদের আইনের আওতায় আনবে।’

(ঢাকা টাইমস/১৯মে/এসএস/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইশরাককে দ্রুত শপথ না পড়ালে বৃহত্তর আন্দোলনের সতর্কতা সালাহউদ্দিনের
জামালপুরে দুই ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন, জরিমানা ২ লাখ
পুলিশের এসপি পদমর্যাদার ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
ট্রাম্পের নতুন আইন, অন্য দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে লাগবে পাঁচ শতাংশ কর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা