সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ— সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। একইদিন মোহাম্মদ আলী মিয়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সরকারি পরিচালক মো. সাজিদ-উর-রোমান। তিনি সাবেক সিআইডি প্রধানের দুর্নীতির অভিযোগে চলা অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আদালতে করা আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান। অনুসন্ধানকালে জানা গেছে তিনি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তিনি পালিয়ে গেলে অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন দুর্নীতির রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ মোহাম্মদ আলী মিয়া ও তার দুর্নীতিতে সহায়তাকারী পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন— সিআইডির প্রশাসন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মহানগর পশ্চিম) এ কে এম ইমরান ভূঁইয়া, সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, পরিদর্শক মানব শাহাজাদা ও পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। ২১ এপ্রিল মোহাম্মদ আলী মিয়াকে তলব করে দুদক। তবে তিনি সেদিন হাজির হননি।
বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট সিআইডি প্রধান হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তাকে সিআইডি থেকে সরিয়ে বাধ্যতামূলক আবসরে পাঠানো হয়। এর আগে তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।
সিআইডিতে থাকাকালে অনিয়ম, দুর্নীতি, মামলা বাণিজ্য ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে শতশত কোটি টাকার মালিক হন।
(ঢাকা টাইমস/১৯মে/এসএস/এসএ)

মন্তব্য করুন