জবি কর্মচারীর দোকানে তালা, দখলের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চায়ের দোকানে তালা দিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাসান সজীবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে দোকানটিতে তালা দেওয়া থাকায় দোকান খুলতে পারছেন না কর্মচারী গোবিন্দ চন্দ্র সরকার।
ভুক্তভোগী গোবিন্দ চন্দ্র সরকার ২০২১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্থানে চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে, একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। চাকরির আয় দিয়ে সংসার চলে না বলেই দোকান চালাই। গত সপ্তাহে দোকানে তালা দিয়ে আমাকে দোকান করতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোকানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সজীব নামের এক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা গত সপ্তাহে আমার দোকানে তালা দিয়েছে। আমাকে দোকানে যেতে এবং দোকান করতে নিষেধ করছে। এতে আমার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমি আবারও দোকানটি করতে চাই, তাই আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রদল নেতা হাসান সজীব বলেন, ‘আমি কোনো দোকান দখল করিনি। দোকানটি আগে পরিচালনা করতেন রনি নামে এক ব্যক্তি। রনির কাছ থেকেই চাবি নিয়ে আমি দোকানটি নিই। গোবিন্দকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। বরং আগে ওই দোকান থেকে গোবিন্দ ও ছাত্রদলের আরেক নেতা শফিউল প্রতি মাসে রনির কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা করে চাঁদা নিত। আমি সবসময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ছিলাম।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, দোকানটি সে (সজীব) ম্যানেজ করেই নিয়েছে। আমি সজীবকে বলেছি, যদি দোকান নিতে চাও তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিড করে নিতে হবে।’
(ঢাকা টাইমস/২০এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন