চাঁদপুরে ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের হাইমচরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দেবর রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের আসামি সিরাজুল ইসলামের ছেলে। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম একই এলাকার মৃত হাসেম গাজীর ছেলে ও অপর আসামি শাহানারা তার স্ত্রী।
হত্যার শিকার ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। ফাতেমা নারায়ণগঞ্জ জেলার গোলাকান্দাই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টায় পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমার শাশুড়ি শাহানারা কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার গলা চেপে ধরে, শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশে বাড়ির পুকুরে লুকিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর পাঠায়। ১৬ অক্টোবর ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হাইমচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় তৎকালিন সময়ে হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা হলেন জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।
(ঢাকা টাইমস/২৪এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন