কাশিয়ানীতে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম, নীরব এলজিইডি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার না করে মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে অদক্ষ ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো, রাস্তা তৈরির সময় ঠিকাদারের কাজের যথাযথভাবে তদারকি না করা, আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের কয়েক মাস যেতে না যেতেই তা নষ্ট বা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এর অগে উন্নয়নমূলক কাজের নির্মাণ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও তিনি তাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো ঠিকাদারদের পক্ষেই সাফাই গেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে (এলজিইডি) রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে কিন্তু অধিকাংশ রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট দিয়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই নিম্নমানের ইট এবং গাইড ওয়ালের সঠিক ব্যবহার না করার কারণে বেশিরভাগ রাস্তা কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভেঙে যাচ্ছে। ঠিকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও তারা নিয়মের তোয়াক্কা না মেনেই অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং রাস্তা টিকে থাকার জন্য দুইপাশে যে ইটের এজিং ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের।
স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার কাজে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৗশলী অধিদপ্তরের কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধিকাংশ ঠিকাদার কাজের অনিয়মের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমার কাজ ভালো হচ্ছে, আমি কোনো খারাপ মাল দিয়ে কাজ করি না। এ কাজ (এলজিইডি) বুঝে নেবে। আপনাদের সমস্যা কী।
এজিং সাধারণত রাস্তার টেকসই করে এবং অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে। এজিং সড়কের প্রস্থ ও প্রান্তকে ধরে রাখে, মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং সড়কের স্থায়িত্ব বাড়ায়। তবে রাস্তার এজিং এ পুরনো বা দুই নম্বর ইট ব্যবহার করতে পারবে কি না, এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সজল দত্ত বলেন, পুরনো ইট ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে পুরনো বা দুই নম্বর তারা ইট সে ব্যবহার করতে পারবে। আর পুরনো ইট আমাদের কাজ থেকে কিনেছে এগুলাসে কি করবে?।
(ঢাকা টাইমস/২৫জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন