হবিগঞ্জের সাবেক ডিসিসহ ৪ কর্মকর্তার কারাদণ্ড 

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ
  প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৯
অ- অ+

হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘটনায় সাবেক জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি)সহ চার কর্মকর্তাকে এক মাস করে সিভিল কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তারেক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন— হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একেএম আমিনুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও নুরে আলম সিদ্দিকী এবং সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সফিউল আলম।

রায়ে বলা হয়েছে, মামলা নম্বর ১-৪/৬-১৩–এর ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদী আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত হননি। তাই তাদের বিরুদ্ধে এক তরফা রায় দেওয়া হয়েছে।

তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীর জমি ফেরত না দিলে, আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়।

২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌধুরী বাজার (খোয়াই মুখ) এলাকায় আব্দুল হামিদের মালিকানাধীন জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

তখন সেখানে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকলেও জেলা প্রশাসন ঘর ভেঙে জবরদখল করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১০ আগস্ট আব্দুল হামিদ মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই মামলার রায়ে আদালত বলেছেন, হুকুম করা হলো যে, মিসিল্যানিয়াস মামলাটি বিপরীত পক্ষ নম্বর ১-৪/৬-১৩ এর বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে এবং অবশিষ্টদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে (কোনো খরচ ছাড়াই) মঞ্জুর করা হলো। প্রতি পক্ষদের এই আবেদনের তফসিলে বর্ণিত মামলার জমিগুলো অবিলম্বে পিটিশনকারীদের দখলে ফিরিয়ে দিতে হুকুম করা হলো; ব্যর্থ হলে পিটিশনকারী দখলের ডিক্রির মতো সিভিল প্রসিডিউর কোড, ১৯০৮-এর আদেশ ২১, বিধি ৩৫ অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে মামলার জমির দখল পেতে পারবেন। এও হুকুম করা হলো যে, বিপরীত পক্ষ নম্বর ১ থেকে ৪ প্রত্যেককে ১ (এক) মাসের সিভিল কারাবাসের আদেশ দেওয়া হলো; তবে অপরাধটি অর্ধ-অপরাধমূলক (quasi criminal) প্রকৃতির হওয়ায় জেল কোডের ৮৮৮ ও ৮৯০ বিধি অনুসারে সরকারি খরচে তাদের খাবার দেওয়া হবে। বিপরীত পক্ষ নম্বর ১ থেকে ৪-এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দণ্ডাদেশ জারি করা হলো।

সেই সঙ্গে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল হামিদকে দখল বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আগামী ২১ দিনের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী আব্দুল হামিদ জানান, দীর্ঘদিন পর আদালতের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আসা করছি খুব শিগগিরই আমার জমি আমাকে বুঝিয়ে দিবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চাঁদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
আইজিপির সাথে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ারের সাক্ষাৎ
ইউএন মানবাধিকার কমিশনের অফিস ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে: মঞ্জু
খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠাতে সরকারের কাছে বিএনপির চিঠি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা