প্রজ্ঞাপন জারি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এখন থেকে পাবেন দশম গ্রেডে বেতন

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
ফলে এখন থেকে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক।
সোমবার দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল কারিগর। তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।'
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের একটি সিভিল রিভিউ পিটিশনের (১২৪/২০২২) আলোকে দেশের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার ভিত্তিতে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম (প্রশিক্ষণবিহীন) গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হবে।
এ সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। এতে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনি সামাজিক মর্যাদাও সুসংহত হবে। এতে তারা শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও মনোযোগী ও উদ্দীপ্ত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করার মাধ্যমে সরকার তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করেছে।
দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। এতোদিন ধরে তাদের বেতন কাঠামোতে ১১তম ও ১২তম গ্রেড বহাল ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে তারা উচ্চতর বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন এই সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ১০ম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা, যা প্রায় ৫৫ হাজার টাকার কাছাকাছি।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের উৎসাহিত করবে এবং প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মন্তব্য করুন