ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম শুল্ক, এই অর্জন অসামান্য: ফয়েজ তৈয়্যব

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে বিশ্ববাণিজ্যের নতুন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনাকে সময়ের বিবেচনায় অসামান্য অর্জন বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ (পাল্টা শুল্ক) আলোচনায় বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম শুল্ক নির্ধারণ করাতে পেরেছে।
আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন বিশেষ সহকারী।
ইউএসটিআর নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশ দল অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ডক্টর খলিলুর রহমান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ পুরো দল গত দুই মাস ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কয়েকটি মিটিংয়ে উনাদের কাজ খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘২০% ট্যারিফ প্রাপ্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিবেশীসহ আঞ্চলিক রপ্তানি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল। আমি আশা করি ব্যবসায়ী মহল সরকারকে এ বিষয়ে প্রাপ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবে।’
বাংলাদেশের ইনসেন্টিভ-নির্ভর কিছু ব্যবসায়ী অধৈর্য হয়ে পত্র-পত্রিকায় ক্রমাগত বিভিন্ন গুজব এবং হতাশার খবর ছড়াচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন ফয়েজ আহমদ। এরপর বলেন, ‘যারা ইউএস মার্কেটে শুধু বিক্রি করে, সেখান থেকে তেমন কিছু কিনে না- এ ধরনের ব্যবসায়ীরা একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। ইউএস থেকে যাদের কেনার কিছু নেই, স্বাভাবিক কারণেই তাদের নেগোসিয়েশন টিমে রাখা, কিংবা তাদের বলয়ের লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ ছিল হাস্যকর এবং শিশুতোষ।’
বিশেষ সহকারীর পরামর্শ, ‘সময় হয়েছে আঞ্চলিকভাবে এই নতুন শুল্কহারকে কাজে লাগানোর সমন্বিত পরিকল্পনায় মনোনিবেশ করা। ডক্টর খলিলুর রহমান ও শেখ বশির উদ্দিনের চৌকস পারফরম্যান্সকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
শুল্ক নিয়ে কাজ করাকে একটা বড় টিম ওয়ার্ক হিসেবে অভিহিত করেন ফয়েজ আহমদ। তিনি আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যারা কাজ করেছেন তাদের সবাইকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই সঙ্গে ফয়েজ আহমদ আলোচনা চলাকালে যারা নন-ডিসক্লাসার অ্যাগ্রিমেন্ট লিক করে সরকারকে তথা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চেয়েছে, তাদের নিন্দা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সব শেষে বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অ্যাটেনশন সিক করা, শত্রু দেশের অনুকূলে এজেন্সিগিরি করা, দেশের ক্ষতি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার এদের হীন উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন