ঈদযাত্রা: দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই

ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল নেমেছে নৌরুট দৌলতদিয়া ঘাটে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশের প্রধান পথ দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ শুক্রবার ভোর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে যাত্রীদের ভিড় বাড়লেও চলাচলে কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ঘাটে পৌঁছানো যাত্রীরা পরিবহন, মাহেন্দ্র, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে করে তাদের গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যানবাহনে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের সঙ্গে বহুসংখ্যক ভেঙে ভেঙে আসা যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। একই চিত্র দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটেও। প্রতিটি লঞ্চেই ছিল ভিড়। এ অবস্থায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে লঞ্চগুলো।
পথে কোনও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন অধিকাংশ যাত্রী। যাত্রীর চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া ঘাটে নেই কোনও যানজট বা ভোগান্তি। ফেরি ও লঞ্চ থেকে যাত্রীরা নেমে চলে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
এজন্য ঘাটে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলগামী শত শত যানবাহন।
এছাড়া ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠে পড়ছে, ফলে যানজটের কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি এবং ২২টি লঞ্চ চালু রয়েছে, যা যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করছে।গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান জানান, ঘাটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, দালাল ও যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বস্তির ঈদযাত্রা উপহার দিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ সমন্বয় করে কাজ করছে। আশা করছি, সকলে ভালোভাবে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে পারবেন। (ঢাকা টাইমস/২৮মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন