সাংবাদিক মুন্নী সাহার 'প্যানিক অ্যাটাক', দেওয়া হলো পরিবারের জিম্মায়
আটকের পর থানা পুলিশ হয়ে ডিবি হেফাজতে নেওয়া সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে শনিবার দিবাগত রাতেই পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতাসহ নানা দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয় বলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন।
ঢাকা টাইমসকে ডিবি প্রধান বলেন, পুলিশ মুন্নী সাহাকে আটক করেনি। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে তাকে ডিবিতে আনার পর প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতার তোপের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সেসময় তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার দেখানোর তথ্য দেন।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। পাশাপাশি মুন্নী সাহাসহ সাতজন সাংবাদিককেও এ মামলায় আসামি করা হয়।
টেলিভিশন সাংবাদিক ও টক শো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু আজকের কাগজ দিয়ে। পরে ভোরের কাগজে দীর্ঘসময় কাজ করার পর তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।
এটিএন নিউজের শুরু থেকে মুন্নী সাহা এই টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের নতুন একটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
এদিকে, মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে গত ৬ অক্টোবর ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এলএম/ডিএম)মন্তব্য করুন