যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান
মেঘনা নদী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সোহেল মিয়াকে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার শ্রীনগর বাজারঘাট এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদী থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ এলাকায় ‘হানিফ মাস্টার গ্রুপ’ ও ‘এরশাদ গ্রুপ’-এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে মোমেনা বেগম নামের এক নারী নিহত হন এবং আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার জের ধরেই যৌথ অভিযান চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ। পুলিশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রায়পুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর এবং র্যাব-এর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন নরসিংদী র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি এসবিবিএল একনালা বন্দুক, ৪টি দেশীয় তৈরি একনালা বন্দুক, ২টি সিলভার রঙের ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি শর্টগানের কার্তুজ ও একটি মোটরসাইকেল।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোহেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলিতে ‘BOF’ (Bangladesh Ordnance Factory) লেখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদী জেলা কারাগার ও অস্ত্রাগারে হামলার ঘটনায় লুট হওয়া গুলির অংশ এটি।
রায়পুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর বলেন, 'সোহেলের নামে তিনটি হত্যা মামলা, দুটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তার গ্রেপ্তার আমাদের চলমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষা অভিযানে বড় সাফল্য।'
তিনি আরও জানান, সোহেল গ্রেপ্তারের পর পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য করুন