বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৮

২২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আজ রবিবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে সকাল ৮টা থেকে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

এদিকে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-পটুয়াখালী সড়কে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

২২ দফা দাবি যতদিন আদায় না হবে ততদিন এ আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজি্স্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি নিয়ে একটি দাবিনামা কর্তৃপক্ষের হস্তগত হয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন এবং এই দাবিগুলো দ্রুত মীমাংসার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের মেনে নেয়া দাবিগুলো নয়, ২২ দফার সবগুলো দাবিই মেনে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তারা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এস এম ইমামুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যতগুলো যৌক্তিক দাবি রয়েছে তা মেনে নেয়া হবে এ কথা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও কেন তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তা বলতে পারছি না। আমাকে ভেতরে যাওয়ার ও বসে কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে কী করে শিক্ষার্থীদের কথা শুনবো।’

ভিসি বলেন, ‘যারা বলছে আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও দুর্নীতিবাজ তারা প্রমাণ করে দেখাক এসব কথা। নিয়োগের বিষয়ে রিট করেছিলেন, তা তো খারিজ করে দিয়েছে মহামান্য আদালত, তাহলে সেটা কেন। আর আমাকে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। আমার যদি বদনাম থাকতো তবে কি তারা আমাকে নিয়োগ দিতেন। অল্প পদের জন্য মুক্তিযোদ্ধার কোঠার কথা উল্লেখ করা হয়নি। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেই হয়েছে, এ কারণে তো আমরা মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে আবেদনকারীদের বাদ দিইনি। মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে ৫৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩৫ জনেরই তো এডমিট কার্ড ছাড়া হয়েছে। আর আবেদনকারী সবাই পরীক্ষার খাতা হাতে না দেখে, দেখা হবে মেশিনের সাহয্যে, যাতে দুর্নীতি না হয়।’

তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন শুরু করছে, তারা কি দাবির কথা আমাকে আগে বলেছিল? আমাকে বলতে হবে, আমার কথাও শুনতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবেই সবকিছু করা উচিত নয় কি? এখন এই আন্দোলনে যে ক্লাস আর পরীক্ষাগুলো চলে গেল সেগুলোর জন্য তো শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদেরই অতিরিক্ত পরিশ্রমই করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালরে ভিসির বিরুদ্ধে প্রথমে আন্দোলন শুরু করে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ভিসির অপসারণের দাবিতে নানা কর্মসূচিও পালন করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ভিসির অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে এ কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে এবং ২২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নতুন মোড় সৃষ্টি করে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/টিটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আল্টিমেটাম

ইবি বিজনেস ক্লাবের যাত্রা শুরু; সভাপতি নাজিম, সম্পাদক রাফায়েল

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন পাবনার দুলাল

স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সমাবেশ

বেরোবি ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে পাঠদান

বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা 

ইবি এবং তুরস্কের ইগদির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

‘কর্মনিষ্ঠ ও ত্যাগী পেশাজীবীকে প্রতিষ্ঠান সবসময় মনে রাখবে’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :