কারাগারের ভেতর পরিপাটি আদালত
মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারির পর বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালত বুধবার দুপুরে বসেছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
যে কক্ষে কারাগার বসেছে, সেটি কারাগার এখান থেকে কেরানিগঞ্জে স্থানান্তরের আগে ব্যবহার হতো কারা পুলিশের দাপ্তরির কাজে। আর সেখানে কারাগার বসার সিদ্ধান্তের পর কক্ষটিকে সাজানো হয় নতুন করে।
বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান এই কক্ষে বসে মামলা পরিচালনা করেন।
পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের পর হাতের ডান পাশে কয়েকটি কক্ষ নিয়ে এই অস্থায়ী আদালত তৈরি করা হয়েছে। জেল পুলিশের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত সাত নম্বর রুমকে আদালতের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ঢোকার পথে ডান পাশের একটি কক্ষকে বানানো হয়েছে বিচারকের খাস কামরা।
আদালত কক্ষটি পূর্ব-পশ্চিম লম্বালম্বি ৫০ ফুট গুণন ২০ ফুট আকারের হবে।
আদালত কক্ষের একেবারের পূর্ব মাথায় বিচারকের চেয়ার। এরপর এজলাসের বাম পাশে আসামিদের কাঠগড়া। তার একটু সামনে ডান পাশে প্রসিকিউশন পক্ষ, তার বিপরীত পাশে খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার ও একটি টি টেবিল রাখা। এরপরেই আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বসার জায়গা করা হয়েছে।
সাংবাদিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত পাশের দুটি কক্ষে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ওইসব কক্ষ থেকে বিচারককে সরাসরি দেখা যায় না।
তবে পুরনো ক্ক্ষগুলোকে নতুন করে রঙ করার পাশাপাশি ভেতরের পরিবেশ পুরোপুরি পাল্টে ফেলা হয়েছে।
আদালতের রুমের উপরের দিকে নানা নকশার বোর্ড দিয়ে সিলিং করা হয়। ১০টি সাদা রঙয়ের ফ্যান লাগানো হয়েছে। ফ্লোরে নীল রঙের ম্যাটস বসানো ছিল।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান খাস কামরায় যান। এর পরপরই দুই পুলিশ সদস্য মামলার নথিপত্রে একটি ট্রাঙ্ক পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সকাল ১০টার দিকেই আদালতকক্ষে হাজির হন। দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, আবদুল্লাহ আবু, শাহআলম তালুকদারকে আদালতে তাদের নির্ধারিত জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না এলেও ঢাকা বারের সভাপতি বিএনপিপন্থি আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষ্য, পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনি আদালতে এসেছেন।
এ মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর আগেই আসামির কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। সোয়া ১২টার দিকে কারাকক্ষ থেকে প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসা হয় আদালত কক্ষে।
পরে ১২টা ২০ মিনিটে আদালত শুরু হয়। পৌনে একটার দিকে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার নতুন তারিখ দিয়ে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক।
(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি)