ক্লান্ত মাশরাফিদের সামনে সতেজ ভারত

দেলোয়ার হোসেন, দুবাই থেকেই
| আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৬ | প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২১

আইসিসি ক্রিকেটের বিশ্বায়ন চায়। অনেক দিন ধরে তারা এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নতি নেই। একটি বহুজাতিক টুর্নামেন্টের মাঝপথে অন্য দলগুলোর ক্ষতি করে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য যদি আচমকা ফরম্যাটে পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটা হাস্যকর সংস্থা।আইসিসি এসিসি এক জিনিস নয় বটে, কিন্তু এসিসি তো আইসিসিরই আঞ্চলিক সংস্থা। আইসিসিও অতীতে ভারতের স্বার্থরক্ষায় বহু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এশিয়া কাপে আজ থেকে ‘ডু অর ডাই’ সুপার ফোর রাউন্ড শুরু হচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে টুর্নামেন্টের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুপার ফোরের ফরম্যাটে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে প্রথম রাউন্ডের ফল যাই হোক, ভারতের সুবিধামত সুপার ফোরের ওঠা চার দলের অবস্থান ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে। সুপার ফোরের তিন দলকে আবুধাবিতে গিয়ে দুটি করে ম্যাচ খেলতে হবে, অথচ ভারত সব কটি ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। চার দলই দুবাইয়ে অবস্থান করছে। এখানে এমনিতে প্রচন্ড গরম। অত্যন্ত টাইট সিডিউল। এরপর আবার আবুধাবিতে জার্নির ধকল। ভারত এসিসির উপর প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের শুধু দুবাইয়ে খেলার সংস্থান রেখেছে।

হুট করে এই অন্যায় নিয়ম পরিবর্তনের ফলে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সুপার ফোরের আজকের ম্যাচটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুটবল বলুন, ক্রিকেটে বলুন-পরপর দুই দিনে দুটি ম্যাচ খেলা অত্যন্ত কাঠিন।

গতরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে, পোস্ট ম্যাচে কথা বলে দুবাইযে ফিরতে বেজে যায় রাত আড়াইটা।ঘুমাতে ঘুমাতে তিনটা। অনেকে নামাজ পড়েন। তারা ফজর পড়তে উঠেছেন। কেউ কেউ তো ৬ ঘন্টাও ঘুমাতে পারেননি। প্রচন্ড গরমে ম্যাচ খেলার পর প্রায় পৌনে দুই ঘন্টার জার্নি শেষে পুরো ৮ ঘন্টা ঘুম দরকার। সঙ্গে একটা দিন বিশ্রামও দরকার, পুরো সার্ভিস পেতে হলে।

অথচ ভারতের বিপক্ষে মাশরাফিদের মাঠে নামতে হচ্ছে ক্লান্ত শরীর নিয়ে।অতীতে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কখনও খেলতে হয়নি।আফগানিস্তানের জন্য তো আরও কঠিন। আজ তাদের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে, আবুধাবিতে। গতরাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করে গভীর রাতে দুবাইয়ে ফিরে আজ আবার আবুধাবিতে গিয়ে খেলতে হবে আফগানদের।

অথচ গত পরশু দুবাইয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে ভারত। দেড়টা দিন তারা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ভারত যেখানে মাঠে নামছে সতেজ হয়ে, বাংলাদেশ সেখানে অনেকটাই পরিশ্রান্ত। কাগজে কলমে ভারত এমনিতেই এগিয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে দুবাইয়ের কন্ডিশনও তাদের ভালো জানা। তাই সব দিক দিয়েই এগিয়ে থাকবে ভারত।

অবশ্য বাংলাদেশ দলের মধ্যে ভিতরে ভিতরে একটা জেদও তৈরী হয়ে থাকতে পারে। ভারত যে অন্যায় সুবিধাটা নিল, তার বিরুদ্ধে এই জেদ। এই বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটাও সামনে থাকতে পারে। জয়ের অবস্থায় থেকেও অল্পের জন্য ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

গতকাল বিশ্রামে ছিলেন মুস্তাফিজ ও মুশফিক। আজ তারা একাদশে ফিরছেন। তামিম না থাকাটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। ভারতের বিপক্ষে বরাবরই জ্বলে ওঠেন তিনি। তামিমের অনুপস্থিতিতে জোড়াতালির ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিন্তা এখা্নেই।

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :