৮০ হাজার কোটি টাকার এক বিস্ময়কর স্টেডিয়াম কাতারের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ মে ২০১৭, ১৩:১২| আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ১৩:২৩
অ- অ+

আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সাত ভাগের এক ভাগ। কিন্তু তেল সমৃদ্ধ কাতারের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। জিডিপির বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশটির নাম হলো কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের এ ছোট্ট দেশেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ।

মধ্য প্রাচের অন্যান্য দেশের মতো কাতারও উষ্ণ প্রধান দেশ। বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সাধারণ শীতপ্রধান দেশে। বিশ্বকাপের দলগুলো গরম তাপমাত্রায় মোটেও অভ্যস্ত নয়। তাই আয়োজন হিসেবে কাতারকে অনেকেই পছন্দ করেনি। তবে এমন গরম দেশেও যে বিশ্বকাপ হতে পারে সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে কাতার।

বিশ্বকাপে বাকি আরো প্রায় ৫ বছর। অথচ এরই মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন অনেকটাই এগিয়ে এনেছে দেশটি। বিশ্ব জুড়ে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে আয়োজক কাতার।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠ সম্পূর্নভাবে সাজিয়ে তুলল কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টিডিয়ামকে বিশ্বকাপের জন্য সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে পরিণত করলেন কাতারের ফুটবল কর্তারা।

এটিই বিশ্বের প্রথম ফুটবল স্টেডিয়াম যা সম্পূর্ণ ভাবে শীতনিয়ন্ত্রিত। কার্যত খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টিডিয়াম ফুটবল বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে।

আধুনিক ও নতুন প্রযুক্তি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা, তা দেখার জন্য কাতার ফুটবলের সর্বাধিক জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট দি এমির কাপ-এর ফাইনাল এই স্টেডিয়ামে করানোর ব্যবস্থা করেছেন স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এক ঝটিকা সফরে এই স্টেডিয়ামকে এক কথায় অসাধারণ বলে ব্যাখ্যা করেন বার্সেলোনার অন্যতম তারকা ফুটবলার জাভি হার্নান্ডেজ।

আরও একবার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যোগ্য আয়োজকদের হাতেই বিশ্বকাপের দায়িত্ব দিয়েছে ফিফা। বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সিনিয়র প্রধান নাসির আল-কাতের বলেন, ‘আমাদের হৃদয়ের বড়ই কাছে এই স্টেডিয়াম। স্বভাবতই আজ আমরা খুশি যে খালিফাকে আমরা তৈরি করতে পেরেছি।’

১৯৭৬ সালে কাতার সরকার ও কাতার ফুটবল অ্যাসোশিয়েসানের যৌথ উদ্যেগে তৈরি হয় এই স্টেডিয়ামটি। ২০২২ বিশ্বকাপের শুধু ফাইনালই নয়, ৪০ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালেরও বেশ কিছু ম্যাচ আয়োজন করা হবে।

খালিফা স্টেডিয়ামের মূল রূপকার কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘানি বলেন, ‘এটিই প্রথম কোনও স্টেডিয়াম যেখানে খোলা আকাশের তলায়ও এয়ারকন্ডিশন কাজ করবে।’

নতুন প্রযুক্তির আমদানি করে এই স্টেডিয়ামটিকে সাজাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে কাতার, বাংলাদেশি মূদ্রায় যা ৮০ হাজার কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতেই কাতারের অর্থমন্ত্রী আলি সারেফ আল ইমাদি জানিয়েছিলেন স্টেডিয়াম কে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কেরানীগঞ্জ থেকে অপহৃত মেহেদী রূপগঞ্জ থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
মাঠে ফেরা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না সৌম্য সরকার
ঢাকাস্থ পটিয়া সমিতির সভাপতি আলী নেওয়াজ, সম্পাদক নুরুল ইসলাম
বগুড়ায় পুলিশি হেফাজত থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার  
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা