আর্জেন্টিনার ব্রাজিল বধ!
আজ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সুপার ক্ল্যাসিক প্রীতি ম্যাচে প্রায় ৯৬ হাজার দর্শকের সামনে ব্রাজিল কে ১-০ গোলে হারিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। এদিন আর্জেন্টিনা’র নবনিযুক্ত কোচ সাম্পাওলি’র অধীনে ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে রাইট ব্যাক গ্যাব্রিয়েল মের্কাডো’র একমাত্র গোলে জয় নিশ্চিত করে আলবিসেলেস্তারা।
প্রথমার্ধের ৪৫তম মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রসে ওটামেন্দি হেড করলে তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বলে সুযোগসন্ধানী মের্কাডো আর ভুল করেননি। আলতো প্লেসিং এ বল জালে জড়ান। শেষ পর্যন্ত ঐ গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
আর্জেন্টিনার ২০১৮ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া যখন অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে, একেবারে খাদের কিনারাই জাতীয় দল দাঁড়িয়ে, তখনই এডগার্ডো বাউজা কে বরখাস্ত করে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। দায়িত্ব তুলে দেয় সাবেক সেভিলা প্রধান জর্জ সাম্পাওলির হাতে। সাম্পাওলি সময় নেন নি একটুও। এসেই উড়তে থাকা ব্রাজিল কে মাটিতে নামিয়ে আনলেন। সেলেকাও বস টিটে’র টানা নয় ম্যাচের জয়রথ কেও থামিয়ে দিলেন এক নিমিষেই।
এদিন ৩-৪-৩ ফর্মেশনে খেলতে নামা আর্জেন্টিনা কে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ এনে দেন ডি মারিয়া। তার শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ১৮ মিনিটে ব্রাজিলের রেনাতো অগাস্টোর শটটি বার ঘেঁষে গোললাইনের বাইরে চলে যায়। ২০ মিনিটে ফিলিপ্পে কৌতিনহোর একটি শট বক্সের সামনেই ক্লিয়ার করে দেয় আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা।
২৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এভার বানেগার কাছ থেকে বল পেয়েই বাঁ পায়ের জোরালো শট নেন। সেটি রক্ষা করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডাররা। ৩৪ মিনিটে ফিলিপ লুইসের একটি শট একেবারে পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এরপর অল্পের জন্যই বলতে গেলে রক্ষা পেয়েছে ব্রাজিল। ৩৯ মিনিটে আবার একেবারে ডি-বক্সের কোণা থেকে বাঁ পায়ের শট নেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। কোনাকুনি আসা শটটি ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক।
তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষে আর্জেন্টিনার সুপরিকল্পিত আক্রমণটি আর ঠেকাতে পারেনি ব্রাজিল। নেইমার বিহীন ব্রাজিল কে আজ যারপরনাই ম্রিয়মাণ লেগেছে। আর তাই হয়তোবা অনেকটা স্বচ্ছন্দেই কোচ হিসেবে নিজের অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করতে পারলেন আর্জেন্টাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি।
অবশ্য ব্রাজিল এখনও এক জায়গায় এগিয়ে। দু দলের এ নিয়ে মোট ১০৮ বারের সাক্ষাতে ব্রাজিল জিতেছে ৪৬ বার, আর্জেন্টিনা এই ম্যাচটি জেতার ফলে তাদের জয়ের সংখ্যা নিয়ে গেলো ৩৯ এ। এর মধ্যে ২৩টি ম্যাচ অবশ্য ড্র হয়।