মানবপাচার: সিলেটে ২৪ এজেন্সিকে জরিমানা
অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর অভিযোগে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার দিনভর জেলা প্রশাসনের পাঁচজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করে।
অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ২৪টি ট্রাভেল এজেন্সিকে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, বেশিরভাগ ট্রাভেলস এজেন্সির লাইসেন্স নেই, তারা মানুষকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে অবৈধপথে মানব পাচারের ব্যবসা করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিলেটের ছয় যুবক নিহতের পর মানবপাচারের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ট্রাভেলস এজেন্সির নামে অবৈধভাবে বিদেশ পাঠানোর ব্যবসা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট জেলা প্রশাসন।
অভিযানে ২৪টি ট্রাভেলস এজেন্সি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও মোট চার লাখ ৭৫ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটি থেকে তিনজন মানবপাচারকারী আটক করা হয় এবং তাদের একমাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী হাকিম হেলাল চৌধুরী।
আম্বরখানা এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী হাকিম ইরতিজা হাসান।
অভিযানে আবুসাইদ এন্টাপ্রাইজকে ত্রিশ হাজার, ট্রাভেল টাইমকে পঁচিশ হাজার টাকা, জিলানী এয়ার ইন্টারন্যাশনালকে পাঁচ হাজার, মিরাজ এয়ার ইন্টারন্যাশনালকে বিশ হাজার, জে স্কয়ার কনসালটেন্সিকে বিশ হাজার, রেন্জার ইন্টারন্যাশলকে বিশ হাজার ও নিউ জান্নাত ট্রাভেলসকে ত্রিশ হাজার এবং ট্রাভেলস কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পনের দিনের ও নাজমুল ইসলাম খানকে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আশরাফুল হকের নেতৃত্বে উপশহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে রোজভিউ কমপ্লেক্সের আবিদ ওভারসিজকে ২০ হাজার, আসসালাম হজ্জ এবং ওমরা (প্যারাডাইস) ১৫ হাজার, আলকেফা ২০ হাজার, খাজা এয়ার ইন্টান্যাশনাল সার্ভিসকে ২০ হাজার, হোয়াইট ট্রাভেলস থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইতালি যাবার পথে তিউনেশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৬০ মারা গেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি।
(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এলএ)