চুয়াডাঙ্গায় শ্রমিকদের দুই পক্ষে সংঘর্ষে আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসির শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকালে শহরের দৌলতদিয়াড় এলাকায় বিএডিসির প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আটজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, বিএডিসিতে শ্রমিকদের কাজ করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল শ্রমিক সর্দার আরিফ ও ডাবলুর মধ্যে। এর জের ধরে শনিবার সকালে বিএডিসির প্রধান ফটকের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের আহত হয় ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক সর্দার আরিফ, আনারুল, তারিক, ফারুক, ডাবলু, রাকিব, কাদের ও ইয়াসিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আটজনের শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখম হয়েছে। তাদের মধ্যে আরিফ ও ডাবলুর মাথা-ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বেশি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির শ্রমিক সর্দার আহত আরিফ জানায়, কাজে ফাঁকি দেওয়ার কারণে কয়েকদিন আগে ডাবলুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এছাড়া কাজ না করে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসবের বিরুদ্ধে অবস্থায় নেওয়ার কারণে ডাবলু বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায়।
তবে ডাবলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছিল শ্রমিক নামধারী আরিফ। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার কারণে আমাকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করে সে। হামলার বিষয়ে আরিফ ও তার পক্ষের লোকজনকে দায়ী করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির উপ-পরিচালক শামিমুর রহমান জানান, শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনার পর নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে অবহিত করানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, সংঘর্ষের পর বিএডিসিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঢাকাটাইমস/১৫জুন/প্রতিনিধি/এমআর