ঠাকুরগাঁওয়ে মেলায় অনুমোদনহীন লটারি বন্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া আজাদ মেলায় অনুমোদন ছাড়াই লটারি চালানোর অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মেলায় অভিযান চালিয়ে লটারি বন্ধের নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায়, ১নং রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু, ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র সেন প্রমুখ।
মেলার সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর চন্দ্র সেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে গা ঢাকা দেন।
ওইদিন মেলায় ইউএনও আসার খবর পেয়ে লটারি কর্তৃপক্ষ ড্র চলাকালে তা বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া লটারির মঞ্চে রাখা মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, লটারির ড্রামসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তড়িঘড়ি করে ভ্যানে সরিয়ে ফেলানো হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলার ৬০তম বছরের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় গত ১১ নভেম্বর। উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম প্রমুখ।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন একটি সার্কাস, একটি যাত্রা ও একটি র্যাফেল ড্র চালানোর অনুমতি দিলেও মেলা শুরুর কয়েকদিন পরে থেকেই গোপনে একটি লটারি বসায়। ‘মন মাতানো লটারি’ নামের ওই লটারির টিকেট প্রতিদিন শতাধিক অটোবাইক যোগে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করা হয়। ‘কপালে থাকলে ঠেকায় কে এবং যদি লাইগ্যা যায়’ ইত্যাদি বুলি আউড়িয়ে মাইকে প্রচার চালিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়। লটারিতে পুরস্কার হিসেবে মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, কালার টেলিভিশন, ছাগলসহ আকর্ষণীয় সামগ্রী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন রাত ৯টায় পুরস্কার দেওয়ার দৃশ্য সরাসরি ক্যাবল টিভিতে দেখানো হয়।
লটারির প্রধান ক্রেতা গ্রামের সহজ সরল নারী পুরুষ ও শিশুরা। তারা লটারিতে সহজে ভাগ্য ফেরানোর আশায় ধান, চাল ও ডিম বিক্রি করা টাকা দিয়ে টিকেট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। সেই সাথে লটারির মালিক ও মেলার সাথে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। ওইসব ব্যক্তি মেলা কমিটিতে প্রদত্ত নির্ধারিত টাকার পরও গোপনে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/জেবি)

মন্তব্য করুন