রসুন রোপনে ব্যস্ত চলন বিলের চাষিরা

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:১০

‘শস্য ভাণ্ডার’ খ্যাত দেশের বৃহত্তর চলন বিল। আর এ বিলজুড়ে পানি নামার সাথে সাথে এ বছর শুরু হয়েছে বিনাচাষে রসুনের আবাদ। রসুনের বীজ রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন নারী-পুরুষ, কিশোর ও কিশোরীরা। সাধারণত বিলের পানি কার্তিকের শেষে নদীতে নেমে যায়। অগ্রহায়নের শুরুতে বিলের পলিমাটি শুকিয়ে ওঠে। তখন কৃষক কোনরকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করেন।

এ বছর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য বিনাচাষে ৪০ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে। তাছাড়া বীজ রোপনের মাধ্যমে ৪০০ হেক্টর লাগানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০০ হেক্টর রোপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা।

এ দিকে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে।

এ বছর চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলোতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ পূর্বে। এখন আমন কাটা শেষে বিনাচাষে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকার উপজেলাগুলোতে। এসব উপজেলার সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসল বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা এবার বিনাচাষে রসুনের রোপন করতে শুরু করেছেন।

তাড়াশ উপজেলার চর এলাকা ও গুরুদাসপুরের কাছিকাটা, ধারাবারিষা ও মশিন্দা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলের পানি নামার সাথে সাথে কৃষকের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ।

চলন বিলে এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুনের কোয়া রোপন করছেন।

তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ি গ্রামের কৃষক ইমান আলী জানান, এ সময় বোনা আমন ধান কাটার পর কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যায়। প্রতিবছরের মত এবারো সাত বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছেন। এর মধ্যে বিনাচাষে তিন বিঘা জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, চলন বিল এলাকায় বর্ষার পানি নামার সাথে সাথে কাদা মাটিতে কৃষক বিনাচাষে রসুন আবাদে লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর রসুন আবাদ বাড়ছেই।

কৃষি অফিসের লোকজন সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :