রাজশাহী আ.লীগের সভাপতি মেরাজ, সম্পাদক দারা

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
  প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩১| আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:১৪
অ- অ+

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। দুজনেই সাবেক সংসদ সদস্য।

সদ্য সাবেক কমিটির আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। আর সদ্য সাবেক কমিটিতে সদস্য ছিলেন কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদে তিনি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। আর নবম সংসদে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মেরাজ।

কয়েক বছর ধরে রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। হঠাৎ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয় তাকে। এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দারাও ছিলেন অনেকটা নিষ্ক্রিয়। তবে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে তারা এলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।

সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও দুইজন যুগ্ম সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুকে। দুই নম্বর যুগ্ম সম্পাদক রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। তিনি আগের কমিটিতে সদস্য ছিলেন। আর লাভলু ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে। সেখানে শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, পদপ্রত্যাশী স্থানীয় নেতা এবং ৩৬০ জন কাউন্সিলর ছিলেন। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা সভাপতি ও ছয়জন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের মধ্যে সমঝোতা করতে ১০ মিনিট সময় দেন। কিন্তু এই নয় নেতা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। সময় শেষে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানান, নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। তারা ভোটাভুটিও চান না। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই সবাই মেনে নেবেন। একসঙ্গে কাজ করবেন।

এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সম্মেলনের সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মঞ্চ ছেড়ে ভেতরে যান। কিছুক্ষণ পর মোহাম্মদ নাসিম নতুন জেলা কমিটির চারজনের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের জন্য তিনি এই নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন কমিটি জেলা আওয়ামী লীগকে আরও গতিশীল এবং শক্তিশালী করবে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব নেতা এবং কাউন্সিলররা নতুন কমিটির নেতাদের অভিনন্দন জানান।

এর আগে ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। কাউন্সিলরদের ভোটাভুটি ছাড়াই ওই সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের কমিটির মেয়াদ পার হয় দেড় বছর আগে। বেশ কিছু দিন ধরেই এই দুই নেতার মধ্যে দেখা দিয়েছিল চরম বিরোধ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিতেন। এ নিয়ে গত ৮ নভেম্বর তাদের ঢাকায় তলব করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সেদিনই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন ঠিক করে দেয়া হয়। পরে দু’দফা দিন পরিবর্তনের পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
রাজনৈতিক কারণে পাঠ্যবইয়ে জায়গা হয়নি শহীদ ওয়াসিমের: নাছির
ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন আটকানো যাবে না, রাজপথেই নির্বাচন আদায় করব: সপু
দেশবাসী প্রস্তুতি নেন, গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ বানাতে হবে: রাশেদ প্রধান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা